ডেস্ক রিপোর্টঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস সামনে রেখে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, ২০২১ সালে নতুন পাঠ্যসূচিতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে। তার আগে ২০২০ সালে পরীক্ষামূলকভাবে একশ স্কুলে এ ব্যবস্থা চালু হবে।

“সামেটিভ পরীক্ষা তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত রাখব না, ফরমেটিভ পরীক্ষা রাখব। অর্থাৎ রাউন্ড দ্য ইয়ার তারা পরীক্ষা দেবে।”

২০২১ সালে নতুন কারিকুলামের পুরো বাস্তবায়ন হবে জানিয়ে সচিব বলেন, “গতাণুগতিক প্রথম ও দ্বিতীয় সাময়িক এবং বার্ষিক পরীক্ষা তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত থাকবে না। সারা বছরেই ক্লাসে মূল্যায়ন করা হবে। শুধু পড়াশোনা নয়, শিক্ষার্থীর আচার-আচরণ সবগুলো বিষয় মূল্যায়ন করে গ্রেড দেওয়া হবে।”

বাংলাদেশের ৬৫ হাজার ৫৯৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোনো ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয় না, প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।

সরকারি প্রাথমিকে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি চালু করা হয় ২০১৪ সালে। প্রাক-প্রাথমিকের প্রথম ব্যাচে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা ২০১৮ সালের প্রাথমিক সমাপনীতে অংশ নেয়।

দেশের শিক্ষাবিদরা পঞ্চম শ্রেণির পিইসি পরীক্ষাও তুলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে আসছেন, তবে তাতে সরকার সাড়া দিচ্ছে না।

প্রাথমিক শিক্ষা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হবে কিনা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “এটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ফাইল চালাচালি চলছে।”

B/N/N


একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে