manik

আব্দুল্লাহ আল মামুন, পার্বতীপুর(দিনাজপুর)প্রতিনিধি:বর্তমান সময়ে আমাদের জীবনযাত্রার জন্য অপরিহায্য যে সকল উপদান তার মধ্যে বিদ্যূৎ অন্যতম। বিদ্যূৎ ছাড়া যেন একমূহুর্ত কল্পনাতীত। প্রযুক্তির বিকাশ মানব জীবনকে দিন দিন আরো উন্নতির পথে নিয়ে যাচ্ছে, ঠিক তেমনি দরীদ্রতার কারণে বিদ্যূতের সংস্পর্শ থেকে পিছিয়ে পরা এক পরিবারের সন্তান মানিক চন্দ্র রায়। তার বাড়িতে বিদ্যূৎ না থাকায় দিনের বেলায় দিনের আলো এবং রাতে হারিকেন (কেরোশিন তেলের দ্বারা চালিত বাতি) এর আলোতে লেখাপড়া করে সে। এভাবে কেটেছে তার ১০টি বছর। দরীদ্রতার কারনে আজও বৈদ্যুতিক সংযোগ নিতে পারেনি পরিবারটি। এতেও থেমে যায়নি তার লেখাপড়া।
মানিক দিনাজপুর বোর্ডেও অধীনে ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় দূর্গাপুর সিরাজুল হুদা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অংশগ্রহন করে জিপিএ-৫ পেয়েছে। সে দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার দূর্গাপুর চাকলাপাড়া গ্রামের কৃষ্ন চন্দ্র রায় এর সন্তান। মাতা আর্চনা রানী। দু ভাইয়ের মধ্যে মানিক বড়। পিতা কৃষ্ন চন্দ্র রায় পেশায় একজন কৃষক। তাদের নিজের বলতে কোন জমি- জমা নেই বলে জানান মেধাবী ছাত্র মানিক। প্রতিনিধি মানিকের কাছে জানতে চাইলে মানিক বলে, আামদের নিজের কোন জমি জমা এমন কি বাড়িও নেই। আমার লেখাপড়ার জন্য প্রতিমাসে প্রায় ২হাজার টাকা ব্যায় হয় যা আমার পরিবারের জন্য বহন করা অত্যান্ত কষ্টসাধ্য। তাই যদি কোন বিত্তবান ব্যক্তি আমাদের পাশে দাড়িয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় তাহলে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে আমার লক্ষ্য পূরণ সম্ভব হবে এবং আমি বড় হয়ে সমাজের একজন ভালো মানুষ হতে চাই বলে জানায়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে