ডেস্ক রিপোর্টঃ হবিগঞ্জের মাধবপুরে দুই শিশুর দেহ থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন ও মায়ের গলায় ফাঁস দেয়া লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে এলাকাবাসী এ ঘটনাকে দুই শিশু সন্তানকে গলা কেটে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে মা আত্মহত্যা করেন বলে ধারণা করলেও গৃহবধূর স্বজনরা দাবি করেন তাদের তিন জনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ তিনটি উদ্ধার করে মাধবপুর থানা পুলিশ।

নিহতরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মজিবুর রহমান মজিদের স্ত্রী হাদিছা বেগম (২৪), তাদের আড়াই বছর বয়সী মেয়ে মীম আক্তার ও ৭ মাসের শিশু সন্তান মোজাহিদ মিয়া।

শুক্রবার রাত ৯টার দিকে মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের নিজনগর গ্রামে ব্যবসায়ী মজিবুর রহমান মজিদের ঘরে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে আশপাশের লোকজন ওই ঘরের দিকে এগিয়ে যান। ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পেয়ে ডাকাডাকি করলেও কেউ কোন সাড়া মেলেনি। এক পর্যায়ে তারা উকিঝুঁকি দিয়ে দেখতে পান মজিবুর রহমান মজিদের ঘরের ভেতর গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় তার স্ত্রী হাদিছা বেগমের লাশ পড়ে রয়েছে। আর খাটে তার আড়াই বছর বয়সী শিশু মিম আক্তারের গলা কাটা লাশ পড়ে রয়েছে। পরে স্থানীয় লোকজন পেছন দিকে গেলে অপর একটি তালাবদ্ধ কক্ষে ৭ মাস বয়সী মোজাহিদ মিয়ারও গলা কাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। এ দৃশ্য দেখে তারা মাধবপুর থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করেন।

ধর্মঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামসুল ইসলাম কামাল জানান, শুক্রবার রাতে ওই গ্রামের কয়েকজন আমাকে ঘটনাটি জানায়। আমি থানাকে জানাই। তবে কি কারণে এ ঘটনা ঘটছে তা এ মুহূর্তে বলতে পারব না।

হাদিছার স্বজনরা জানান, ২০১৪ সালে মজিদের সঙ্গে হাদিছা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। মজিদের উগ্র মেজাজের কারণে সামান্য বিষয়েই ঝগড়া-বিবাদ লেগেই থাকত। মজিদ প্রায়ই তার স্ত্রীকে মারধরও করত। ৩ দিন আগেও মজিদ তার শাশুড়ির সামনে হাদিছাকে মারধর করেন। তাদের দাবি, হাদিছা ও তার সন্তানদেরকে মজিদ নির্মমভাবে খুন করেছে।

সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এস এম রাজু আহমেদ জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।  তদন্ত শেষেই তাদের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত বলা যাবে।

B/P/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে