160818163812_biman_bangladesh_640x360_bimanbangladeshairlines_nocredit

বিডি নীয়ালা নিউজ(২০ই  আগস্ট ২০১৬ইং)-ডেস্ক রিপোর্টঃ বাংলাদেশে হজ্ব এজেন্সিগুলো হজ্বে গমনেচ্ছুদের ভিসা প্রাপ্তিতে বিলম্ব এবং এখনো পর্যন্ত ১৫ টি হজ্ব ফ্লাইট বাতিলের পেছনে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কিছু কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করছে।

তারা বলছে, ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব করা হচ্ছে এবং এনিয়ে অর্থ দাবীরও অভিযোগ করছে তারা। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় বলছে, তাদের পক্ষ থেকে কোন বিলম্ব করা হয়নি এবং লিখিত অভিযোগ পেলে তারা সেটি তদন্ত করে দেখবে।

বাংলাদেশের প্রায় ১ লাখ নিবন্ধিত হজযাত্রীর মধ্যে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হিসেবে এখনো পর্যন্ত গিয়েছেন ৪৫ হাজারের বেশি যাত্রী।

তবে সময়মত ভিসা না হওয়াসহ নানা জটিলতায় এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশ বিমানের ১৩ টি এবং সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের ২ টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।

হজ্ব এজেন্সিগুলোর সংগঠন হাবের সভাপতি ইব্রাহিম বাহার বলছেন, হাইকোর্টের নির্দেশে যে সরকারী ব্যবস্থাপনা থেকে যে ৪,৮০০ যাত্রীকে বেসরকারি এজেন্সিতে ক্রমানুসারে নিবন্ধন করতে বলা হয়েছিল, সেগুলো এখনো ইচ্ছাকৃতভাবে করেনি ধর্ম মন্ত্রণালয়।

“এই সিরিয়াল দিতে ৪৮ মিনিট লাগার কথা। কিন্তু ২৪ দিন ধরে ঐটাকে ঘুরানো হচ্ছে”। বলেন মি. বাহার।

তার মতে, ফ্লাইট বাতিল হওয়ার ফলে পরবর্তীতে হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়া খুব কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। এবং এই গাফিলতির জন্য তিনি সরাসরি অভিযোগ করছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিবের বিরুদ্ধে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে সচিব মোহাম্মদ আব্দুল জলিল বলেন, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সকল ফি জমা দেয়া হয়েছে এবং বিলম্ব ঘটানো হয়নি।

“রাজকীয় সৌদি সরকার কর্তৃক নিবন্ধনের জন্য ১৬ তারিখ পর্যন্ত সময় ছিল। ১৬ তারিখেই আমরা প্রাপ্ত সকল সিরিয়াল সৌদি আরব প্রেরণ করেছি। আমাদের পক্ষ থেকে কোন বিলম্ব ঘটানো হয় নাই”। বলেন মি. জলিল।

তবে হজ্ব এজেন্সিগুলোর দাবী এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এতটা সময়ের প্রয়োজন হয়না এবং উপরন্তু মি. বাহার দাবী করছেন, অন্যান্য ভিসার ক্ষেত্রেও, বিশেষ করে নারী হজ্বযাত্রীদের সঙ্গী হিসেবে পরিবারের সদস্য পরিবর্তনের ক্ষেত্রে হজ্ব অফিস থেকে অর্থ দাবী করা হচ্ছে।

“রাস্তাঘাটে দালালচক্র যেভাবে টাকাটুকা নেয় ট্রাক ওয়ালাদের কাছ থেকে, এটা অনেকটা সেরকম”। বলেন মি. বাহার।

হজ্ব অফিসের পরিচালক আবু সালেহ মোস্তফা কামালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এরই মধ্যে ১ লাখ হজ্বযাত্রীদের মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশের ভিসা হয়ে গেছে এবং তার বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো সত্য নয়।

তবে এর আগের বছরগুলোতেও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল হজ্ব এজেন্সিগুলো এবং এবারও তারা ধর্ম ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং হজ্ব অফিসের পরিচালকের অপসারণ দাবী করছে।

সচিব মি. জলিল বলছেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন।

“আমরা চাচ্ছি হাজীদের সেবা সময়মত সঠিকভাবে সম্পন্ন করা এবং সে ব্যাপারে আমরা সবকিছু করে যাচ্ছি”। বলেন মি. জলিল।

সরকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ কিংবা আইনগত কোন পদক্ষেপ নেবেন কিনা জানতে চাইলে হজ্ব এজেন্সিগুলোর নেতা মি. বাহার বলেন, তারা চাইছেন হজ্ব যাত্রীরা যাতে সময়মত হজ্বে যেতে পারেন।

হজ্ব এজেন্সি এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এই দ্বন্দ্বের বিষয়ে ধর্মমন্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে তাকে তৎক্ষণাৎ পাওয়া যায়নি।

 

 

BBC

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে