চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। সেইসাথে দেশে অনলাইন সংবাদমাধ্যমগুলোকে শক্ত প্রাতিষ্টানিক ভিত্তির উপর দাড়াতে হবে। এ জন্য অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়ায় দক্ষ অনলাইন সাংবাদিক তৈরি করতে হবে। সৎ ও সাহসি সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে হুমকি দিন দিন বেড়েই চলেছে এজন্য রাষ্ট্রকে স্বাধীন সাংবাদিকতার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
৩ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ অনলাইন জার্নালিষ্ট অ্যাসোসিয়েশন- বিওজেএ আয়োজিত সভায় বক্তারা এসব কথা তুলে ধরেন।
প্রসঙ্গত , এবারের বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্লোগান, ‘মিডিয়া ফর ডেমোক্র্যাসি: জার্নালিজম অ্যান্ড ইলেকশন্স ইন টাইমস ডিজইনফরমেশন’। ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে তারিখটিকে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ অনলাইন জার্নালিষ্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জাহিদ ইকবালের সভাপতিত্বে অনুষ্টানে বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি রিবেল মনোয়ার,মনজুর হোসনে ইসা, আতিকুল ইসলাম,আরাফাত মাহমুদ,সীমান্ত আরিফ,জিসাদ ইকবাল, সাধারন সম্পাদক ইব্রাহীম সরকার,সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল আরিফ জুয়েল,মিজানুর রহমার হাসান,রনি ইমরান,মারুফ সরকার প্রমুখ।

বিশ্বমুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে ইথোপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় ইউনেস্কোর উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী অনুষ্টিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা হয়।
বিওজেএ নেতারা বলেন, দেশে এখন প্রায় আট কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর । এর বেশিরভাগ অনলাইন সংবাদের পাঠক। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সরকারের আন্তরিকতায় ২০২১ সালে দেশের সব মানুষ ইন্টারনেটের আওতায় আসবে।
এতে অনলাইন গণমাধ্যমের জন্য সুদিন আসবে। তাই জেলাভিত্তিক অনলাইনপোর্টালগুলোর জন্য সামনে অনেক সুযোগ আসবে। সেইসাথে সাংবাদিকদের চ্যালেঞ্জও বাড়বে।
সংগঠনের সকল জেলা ও উপজেলা কমিটি ঢেলে সাজিয়ে নতুন দিনের জন্য প্রস্তত করা হবে। আর জেলাভিত্তিক সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ (৩ মে)। প্রতি বছর এই দিনে সারা বিশ্বে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালিত হয়। এবারের বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্লোগান, ‘মিডিয়া ফর ডেমোক্র্যাসি: জার্নালিজম অ্যান্ড ইলেকশন্‌স ইন টাইমস ডিজইনফরমেশন’।
১৯৯১ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ মোতাবেক ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে তারিখটিকে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এরপর থেকে বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যম কর্মীরা এ দিবসটি পালন করে আসছে। এই দিবসটিতে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার শপথ নেওয়ার পাশাপাশি ত্যাগী সাংবাদিকদের স্মরণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানানো হয়।
এবারের মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে ইথোপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় ইউনেস্কোর উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের সাংবাদিকরাও তাদের পেশাগত অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় এই দিবসটি পালন করতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানও নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে