মাহফুজার রহমান মন্ডল

গতকাল ছিল লাল সবুজ পতাকা হাতে হাজারো মানুষের ঢল, সেই সাভারে দাঁড়িয়ে থাকা জাতীয় স্মৃতিসৌধ চত্তরে। ভোরে ৩১ বার তোপ ধনীর মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচীর সূত্রপাত ঘটে। সূর্যদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানান। এসময় জাতীয় সংসদের স্পীকার, ডেপুটি স্পীকার, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, বিচারপতি, তিন বাহিনীর প্রধানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এরপর সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মূল ফটকটি খুলে দেওয়া হয়। নেমে আসে হাজারো মানুষের ঢল। এতে নানান রাজনৈতিক, সামাজিক, সংস্কৃতিক সংগঠন নানান পেশার মানুষ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া,  তিনি তার দলের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

স্মৃতিসৌধ চত্বরে গণমাধমের প্রতিনিধি গণ ছুটাছুটি করছেন স্বচল ব্যাক্তিদের নিকট। স্বাধীন দেশে স্বাধীন মানুষ হিসেবে কিভাবে তারা টিকে আছে, তারা কেন এসেছে, ২৫শে মার্চের রাত সম্পর্কে জানতে চাওয়া ইত্যাদি ইত্যাদি। আবার অনেক শিশুদের সাক্ষাৎ মিলল সেখানে-

সেখানে আজকার দিবস সর্ম্পকে জানতে চাইলে চর্তুথ শ্রেণীর ছাত্রী নাবিলা বলে, ‘আব্বুর সঙ্গে এখানে ঘুরতে এসছে। আজ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়ছেলি। তাই সবাই এখানে ফুল দিচ্ছে।

এরপর স্মৃতিসৌধে আসা পঞ্চম শ্রণীতে পড়ুয়া জাহমিরার সঙ্গে কথা হয়। আজকের দিবস সর্ম্পকে জানতে চাইলে সে উত্তর দয়ে, ‘২৬ শে র্মাচ সবাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে ফুল দিচ্ছে তাই দেখতে এসছে। ২৫ র্মাচ কালরাতে কি হয়েছিল সে তা জানে না।

এদিকে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র সোহাগ আলী জানায়, সে আজ স্মৃতিসৌধে এসেছে বন্ধদের সঙ্গে আনন্দ পাওয়ার জন্য। ২৫ র্মাচ কালরাতে কি হয়ছেলি সে বিষয়টিও তার জানা নেই।

সিয়াম নামের এক মাদরাসা ছাত্র জানায়, সে আজ স্মৃতিসৌধে এসেছে ফ্রেন্ডদের  সাথে মজা করার জন্য। কিন্তু আজ কি দিবস সে তা জানে না। তবে ২৫ র্মাচ কালরাতে আমাদের (বাংলাদেশের) ওপর আক্রমণ করা হয়েছিলো বলে সে জানে।

নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জ্ঞান শূন্য এবং ভুল ধারণাগুলোর কারণ সর্ম্পকে জানতে কথা হয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে ফুল দিতে আসা একজন অবিভাবকের সঙ্গে। ব্যাংক র্কমর্কতা রেজাউল ইসলাম বলনে, ‘আমাদরে ভবিষৎ প্রজন্ম মুক্তযুদ্ধের ইতিহাস থেকে দিনে দিনে সড়ে যাচ্ছে। পাঠ্যপুস্তকের বিশাল সিলেবাস এবং পরীক্ষায় ‘গোল্ডেন প্লাস’ পাওয়ার আকাঙ্ক্ষার কারণেও নতুন প্রজন্ম মুক্তযুদ্ধের পটভূমি ও ইতিহাসকে পড়ছে না এবং ভুলছে। পরীক্ষা শেষে তো তাদের ওই শ্রেণীর শিক্ষাও শেষ। তাই শুধু পরীক্ষার প্রয়োজনে না পড়িয়ে শিক্ষার্থীদেরকে গল্পে গল্পে একাত্তরের ইতিহাস পড়াতে হবে। মুক্তযুদ্ধের ইতিহাস অন্তরে ধারণ করাতে হবে।(বাংলামইেল২৪ডটকম)

এখানে স্মৃতিসৌধের মূল বেদিতে ফুল দিতে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, “আমরা যে লক্ষ্যকে সামনে রেখে যুদ্ধ করেছি, দেশ স্বাধীন করেছি, সেই লক্ষ্যের দিকে দেশ এগিয়ে চলেছে। এর মধ্যেও এক শ্রেণির রাজনৈতিক দল পাকিস্তানপন্থি রাজনীতি করছে।

“যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হচ্ছে। সব বাধা মোকাবেলা করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, এই প্রত্যাশা করছি।”

এগিয়ে যাওয়ার গতিধারা অব্যাহতের প্রত্যাশার পাশাপাশি শিক্ষক সমাজকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম।

“অগ্রগতির ধারা বাধাগ্রস্ত করতে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি থেমে নেই। তাই এ সময়ে শিক্ষিত মানুষদের সজাগ থাকতে হবে যাতে সমাজ জেগে থাকে।”

এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় এসেছে বিএনপির কাছ থেকেও; সম্প্রতি দলীয় চেয়ারপারসনের দেওয়া ‘ভিশন-২০৩০’ ধরে এগিয়ে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা জানান দলটির নেতারা।

সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে এসে জাসদের একাংশের সভাপতি তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, “অনেক বাধা অতিক্রম করে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এখন জঙ্গিবাদকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে, বৈষম্য দূর করে দুর্নীতিবাজ ও দলবাজমুক্ত দেশ গঠন করতে হবে।” (Bdnews24)

গতকাল প্রকাশিত বিডি ণীয়ালা নিউজ-এ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে শনিবার (২৬ মার্চ) সকালে রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জাতীয় শিশু-কিশোর সমাবেশে শিশু-কিশোরদের প্রতি নিজেদের গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘তোমরাই তো একদিন দেশ পরিচালনা করবে । আমাদের মতো মন্ত্রী-প্রধানমন্ত্রী হবে।’ প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের সময় আমরা সবসময় বৈষম্যের স্বীকার হয়েছি। এদেশের মানুষের শিক্ষার সুযোগ ছিল না, তারা চিকিৎসা পেত না, তাদের খাবার ছিল না, আশ্রয় ছিল না। আমাদের অর্থ-সম্পদ লুট করে নিয়ে যেত পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী। এমনকি আমাদের মাতৃভাষা বাংলায় কথা বলারও অধিকার তারা কেড়ে নিতে চেয়েছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৪৮ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, তখন তিনি প্রথম রাষ্ট্রভাষার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। এরপর ছয় দফা, সত্তরের নির্বাচন ও অসহযোগ আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি দেশকে স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যান। ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালির ওপর ঝাপিয়ে পড়ে। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদেরসহ শিশু-কিশোর-নারী-বৃদ্ধ, কাউকেই রেহাই দেয়নি তারা। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। এর পরপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার আহ্বানে মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। দীর্ঘ নয় মাসের যুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। জাতির পিতা বাঙালির মনে স্বাধীনতার চেতনার জন্ম দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার ৪৫তম বছরে পা দিয়েছি আমরা। কোনোদিক থেকে পিছিয়ে থাকবে না আমাদের দেশ। বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে আমরা এগিয়ে যাবো। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে মধ্যম আয়ের দেশ। আর ২০৪০ সালের মধ্যে আমরা হবো উন্নত দেশ।

এদিকে বাংলাদশেকে তাঁবেদার রাষ্ট্রে পরণিত করার চক্রান্ত চলছে আজ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই ষড়যন্ত্রের মোকাবেলায় কাজ করতে হবে আজ শুক্রবার ২৬ র্মাচ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশীসহ সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে দেয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একথা বলনে।

তিনি আরো বলনে, ‘এ মহান দিনে আমি শ্রদ্ধা জানাই স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহীদদের স্মৃতীর প্রতি যাদের আত্মত্যাগে আমরা র্অজন করেছি স্বজাতির মুক্তির স্বাধীনতার ঘোষক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানসহ সকল জাতীয় নেতার স্মৃতির প্রতি আমি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। স্মরণ করি সে সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের অবদানের কথা, যাদের নয় মাস জীবন মরণ লড়াইয়ে অর্জিত হইয়েছে স্বাধীনতা। আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি সে সব মা-বোনদরে কথা, যারা মাতৃভূমরি স্বাধীনতার জন্য ত্যাগ স্বীকার করছেনে।’ (The Dhaka post)

আবার বাংলা ট্রিবিউনে প্রকাশিত বাংলাদেশ ছাত্রশিবিরের দাবি বাংলাদেশের স্বাধীনতা তারাই এনেছেন; সে স্বাধীনতা রাখবেন তারাই। শনিবার মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এই দাবি সংবলিত স্লোগান দিয়ে সারাদেশে র‍্যালি বের করেছে জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন শিবির। রাজধানী ঢাকাসহ চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, দিনাজপুর, গাজীপুর, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্নস্থানে এই স্লোগানে র‍্যালি করেছে সংগঠনটি। পাশাপাশি শিবির নেতারা র‍্যালি করতে গিয়ে দাবি করেছেন, তারা  এই দেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী ছিলেন। আরো বলেছেন, ‘আমাদের সেই প্রিয় ইসলামী নেতৃবৃন্দকে আজ বিচারের নামে হত্যা করা হচ্ছে এবং কারারুদ্ধ রাখা হয়েছে।’

স্বাধীনতা দিবসে আজ শনিবার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অভিযাত্রীর উদ্যোগে নিশাত মজুমদারের নেতৃত্বে সমাজের নানা শ্রেণী-পেশার দেড় শতাধিক তরুণ-তরুণী ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সাভাররে জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দ্যেশ্যে পতাকা শোভাযাত্রা শুরু করনে। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সাভারে জাতীয় স্মৃতসিৌধে পৌঁছায় নিশাত মজুমদারের পতাকা শোভাযাত্রা। স্মৃতিসৌধে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি র্অপণ করে দলটি। এ সময় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন করনে সবাই। পরে সেখানে মুক্তযুদ্ধের প্রেরণা দেওয়া গণসংগীত পরিবেশন করা হয়।

নিশাত মজুমদার জানান, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের তহবিল সংগ্রহের জন্য মুক্তযুদ্ধের চেতনা নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতেই এই র্কমসূচী। তিনই বলেন, ‘এ ধরণের পদযাত্রা গত তিন বছর ধরে করছি। এবার চর্তুথবারের মতো ছিলো। চেস্টা ছিলো মুক্তযুদ্ধের চেতনা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে। ওই চিন্তা থেকেই কাজটি শুরু করি যে শহীদ মিনার থেকে স্মৃতিসৌধে আমরা হেটে আসব। এবার আমাদরে সঙ্গে যোগ দিয়েছিল মুক্তযুদ্ধ জাদুঘর। আমাদের সাধারণ মানুষের সাহায্যে নির্মিত হচ্ছে মুক্তযুদ্ধ জাদুঘর। তহবলি সংগ্রহের উদ্দ্যেশ্যে এবাররে আয়োজন নিবেদন করেছি। (Online Ntv)

কোনো এক দিনের একটি ঘোষণার জন্য বাংলাদশে স্বাধীন হয়নি বলে মন্তব্য করছেনে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। তিনি বলনে, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নির্দেশে দলমত নির্বিশেষে দেশের সব মানুষ স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। এ ক্ষেত্রে ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাই স্বাধীনতার ঘোষণা হিসেবে কৃষক-শ্রমিকসহ সাধারণ জনতাকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে অনুপ্রাণিত করেছিল।’ বৃহস্পতিবার (২৪/০৩/২০১৬)বিকেলে রাজধানীর বিসিআইসি মলিনায়তনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয় আয়োজতি আলোচনা সভায় বক্তৃতাকালে সংস্কৃতিমন্ত্রী এ কথা বলনে। (নাগরকি কণ্ঠ )

র্সাচ জায়ান্ট গুগলের ডুডলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসকে প্রর্দশন করা হচ্ছে। ২০১৩ সালের স্বাধীনতা দিবস বাংলাদেশ নিয়ে প্রথম ডুডল প্রর্দশন করে গুগল।

বাংলাদেশকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরন্দ্রে মোদী। শনিবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজের মাধ্যমে শুভেচ্ছা জানান ওবামা। অন্যদিকে নিজের টুইটারের মাধ্যমে শুভচ্ছা জানান মোদী। (বিডিজার্নাল৩৬৫ডটকম)

দেশ স্বাধীনের ৪৫ বছর হতে চলেছে কিন্তু জীবন যুদ্ধে এখনও পরাধীন ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ কাজী আব্দুল বারকি। বয়সের ভারে এই ‘মুক্তিযোদ্ধাকে’ কে এখনও রাস্তায় মাদুর পেতে নতমস্তকে জুতা সেলাই করে জীবিকা নির্বাহ করতে হয়। স্বাধীনতার ৪৫ বছররেও তার ভাগ্যে জোটেনি মুক্তযোদ্ধার স্বীকৃতি রাষ্ট্রীয় ভাতা। সরকারি কোনও সুযোগ-সুবিধা না পাওয়ায় অভাব-অনটনে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি। (বাংলার খবর ২৪.কম)

মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা নিয়েও অনেক জটিল সমস্যা আছে।যা এরশাদের সময় প্রায় ১লাখ ২ হাজার ছিল। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে একটি তালিকা প্রণয় করা হয়। এখানে ১লাখ ৫৪ হাজার জনের নাম থাকলেও সবার নাম গেজেটে প্রকাশ করা হয়নি। ২০০২ সালে বিএনপির আমলে মোট ১লাখ ৮৮ হাজার জনের নাম তালিকায় প্রকাশ করা হয়।পালাক্রমে দল পরিবর্তন হয় আর মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বাড়তে থাকে।সেই ধারাবাহিকতায় ২০১০-১২ সালে প্রায় ২লাখ ৯৫ হাজার জনের নামের তালিকাভুক্তি করা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় যে তখনও কিন্তু কিছু  প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্তি হয়নি মনে করা হয়।

বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আলোচনা শুরু করলে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের বৈঠকে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা যাচায়ের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু শুরু থেকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় যতবার হাত দেওয়া হয়েছে ততবার বেড়েছে। এই ধারাবাহিকতার পর্যবেক্ষণ করে সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের অধিকার ফিরে দেওয়া হউক। স্বাধীন রাষ্ট্রের পটভূমি সব শিশুদের পাঠ্যবইয়ে সুন্দর করে সন্নিবেশিত করা হউক, শুধু সন্নিবেশিত নয় শিক্ষকদেরও দায়িত্ব সুন্দর করে শিশুদের নিকট সঠিক ইতিহাসটা তুলে ধরা। আর স্বাধীনতা নিয়ে খেলা নয়, পবিত্র এই ভূ-খন্ডটাকে বিশ্বের দরবারে সুন্দর করে উপস্থাপন করা প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য।

আবার স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে যে  তর্কবিতর্ক রয়েছে এটার সুড়হা কবে হবে তা কে জানে। সরকার বদলের সাথে সাথে পাঠ্য-পুস্তকগুলোতেও কিছুটা পরিবর্তন দেখা যায়।

নিউজ পোর্টালের আলোকে আজকের স্বাধীনতা বিরোধীরা মাথা চারা দিয়ে উঠেছে এবং স্পষ্ট ঘোষণা দিচ্ছে আমারা স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করছি। কিন্তু এতদিন ইতিহাসের পাতায় যা দেখলাম শিখলাম , সেই বইয়ের পাতাগুলো   আজ সাক্ষী হিসেবে রয়েছে, তা কিভাবে ভুলবো?

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে