ডেস্ক রিপোর্টঃ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তে বাংলাদেশ-মিয়ানমার দু’দেশের সীমান্তরক্ষীর মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়েছে।

বিকালে সাড়ে ৩টা থেকে পৌনে ৫টা পর্যন্ত প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলে এ বৈঠকটি। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে ৭ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লে. কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান। আর মিয়ানমারের পক্ষে সাত ৭ সদস্যে নেতৃত্ব দেন ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সুচায়ে হু।

তার আগে বৈঠকে অংশ নিতে ঘুমধুম বিজিবি ক্যাম্প থেকে হেঁটে বিজিবির সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের বাংলাদেশ-মিয়ানমার সংযোগ সড়কের মৈত্রী লালব্রিজ এলাকায় যায়। অপরপ্রান্ত থেকে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীর একটি প্রতিনিধিদলটিও হেঁটে দু’দেশের সীমান্তের মধ্যবর্তী স্থানে পৌঁছায়। মধ্যবর্তী স্থানে তাঁবুর নিচে পতাকা বৈঠকে অংশ নেয় বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি)। দীর্ঘ দেড় ঘণ্টা বৈঠক শেষে বিকাল পৌনে ৫টায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলটি ঘুমধুম ক্যাম্পে ফিরে আসে।

বৈঠক শেষে ফিরে বিজিবি ৩৪ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার লে. কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান সাংবাদিকদের বলেন, শূন্যরেখায় আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে ফের আশ্বস্ত করেছে মিয়ানমার। তবে সীমান্তে জিরোলাইনে ফাঁকা গুলি ছোড়ার ঘটনাটি অস্বীকার করেছে তারা।

বৈঠকে মিয়ানমার দাবি করে, মিয়ানমারের নিরাপত্তায় সীমান্ত অঞ্চলের প্রায় সময় সেনা-বিজিপি মোতায়েন করা হয়। বাড়ানো ভারি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে টহল নিয়ে বলেন, এটি সম্পূর্ণ মিয়ানমারের নিজস্ব বিষয়। ফাঁকা গুলিও মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ছোড়া হয়েছে। বিজিবির পক্ষ থেকে সীমান্তে ফাঁকা গুলি ছোড়ার বিষয়ে প্রতিবাদ জানানো হয় এবং আগামীতে ফাঁকা গুলি ছোড়ার আগে বিজিবিকে অবহিত করার জন্য দাবি জানানো হয়। মিয়ানমার বিষয়টিতে একমত হয়েছেন।

 

 

 

 

 

 

J/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে