_91555190_azizahmed

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বা বিজিবি’র প্রধান মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ মনে করেন গরু চোরাচালান কমিয়ে আনতে পারলেই সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল আহমেদ বলেন, সীমান্তে হত্যাকান্ডের ৯৫ শতাংশের পেছনেই রয়েছে গরু চোলাচালানের ঘটনা।

বিভিন্ন মানবাধিকার গোষ্ঠীর হিসেবে, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্তে প্রতিবছর গড়ে ৫০ জনের মতো বাংলাদেশী নাগরিক ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বা বিএসএফ-এর হাতে নিহত হয়।

এই দুই দেশের সীমান্তে বিএসএফ-এর হাতে বাংলাদেশী হত্যার ঘটনা এতই বেশী যে অনেক মানবাধিকার গোষ্ঠী এই সীমান্তকে পৃথিবীর সবচেয়ে বিপদসংকূল সীমান্ত হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

আর বিএসএফ-কে ট্রিগার হ্যাপি বাহিনী হিসেবেও চিহ্নিত করেছে কোন কোন মানবাধিকার সংগঠন, যা অর্থ হলো ই বাহিনীর সদস্যরা গুলি ছুঁড়তে পছন্দ করেন।

বিজিবি মহাপরিচালক জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৬ জন বাংলাদেশী সীমান্তে নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ২২ জনই মারা গেছেন বিএসএফ-এর হাতে।

সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে প্রতিবছর অনেক মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনা হলে এক সময় ভারতের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল যে বিএসএফ সদস্যরা নন-লিথ্যাল উইপন অর্থাৎ প্রাণঘাতী নয় এমন অস্ত্র ব্যবহার করবে।

আর মানবাধিকার কর্মীরা দাবি জানিয়ে আসছেন যে অপরাধের ধরণ যাই হোক না কেন, হত্যাকান্ড কোন অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং বিএসএফ-এর উচিত অপরাধীদের গ্রেফতার করে বিচারের ব্যবস্থা করা।

তবে দৃশ্যত সীমান্তে হত্যাকান্ডের ঘটনা কমেনি বলেই মানবাধিকার কর্মীরা মনে করছেন।

ভারতের দিল্লীতে বিএসএফ-এর সাথে মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক শেষে ঢাকায় ফিরে সাংবাদিকদের জেনারেল আহমেদ বলেন, সীমান্তে অপরাধ কমিয়ে আনতে বিজিবির টহল বাড়াতে রাস্তা তৈরি করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ২৮২ কিলোমিটার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া ও রাস্তা তৈরির একটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে এবং তহবিল পেলেই নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

তিনি বলেন, গরু চোরাচালান রোধ করতে পারলে অন্য অপরাধও কার্যকরীভাবে রোধ করা সম্ভব হতে পারে।

বি/বি/সি/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে