united-nations-logo

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সিরিয়ার আলেপ্পোর কাছে সোমবার ত্রাণবাহী ট্রাকে বিমান হামলার পর দেশটিতে সব ধরনের ত্রাণবাহী যানের বহর পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের এক মুখপাত্র জানান, ত্রাণবাহী ট্রাকগুলো সঠিকভাবে অনুমতি নিয়েছিল এবং রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রসহ যুদ্ধরত সব পক্ষকে এ ব্যাপারে জানানো হয়েছিল।
ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে গম, শীতের পোশাক ও চিকিৎসা সামগ্রী ভর্তি ৩১টি লরির মধ্যে ১৮টি বিধ্বস্ত হয়। বিমান হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়। তাদের মধ্যে সিরীয় আরব রেড ক্রিসেন্টের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা রয়েছেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
সিরিয়ার উরম আল-কুবরা শহরের কাছে ত্রাণ বহরে হামলার কথা নিশ্চিত করেছে জাতিসংঘ। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানায়নি সংস্থাটি।
সিরিয়ায় মার্কিন-রুশ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত অস্ত্রবিরতি শেষ হয়েছে বলে সিরীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ঘোষণা আসার কয়েক ঘণ্টার মাথায় বিমান হামলার এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে ওয়াশিংটন বলেছে, তারা ভবিষ্যতে মস্কোর সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র জন কারবি বলেন, ‘এই ত্রাণ বহরের গন্তব্য কোথায় ছিলো তা সিরিয়া সরকার ও রাশিয়া ফেডারেশন জানতো। এবং সিরীয় জনগণের কাছে ত্রাণ সরবরাহের চেষ্টাকালে ত্রাণকর্মীরা নিহত হয়েছেন।’
যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানায়, সিরিয়া বা রাশিয়ার যুদ্ধবিমানই এই হামলা চালিয়েছে। তবে দামেস্ক এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেনি।

 

B/S/S

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে