160211145058_lavrov_kerry_munich_syria_640x360_afp_nocredit

বিডি নীয়ালা নিউজ(১২ই ফেব্রুয়ারী১৬)-আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনঃ জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক এক বৈঠকে সিরিয়ায় যুদ্ধবিরতির জন্য একটি চুক্তির বিষয়ে সম্মত হয়েছে বৃহৎ শক্তির দেশগুলো। এটি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে করা হবে।

এই বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন সিরিয়ার অবরুদ্ধ এলাকাগুলোতে জরুরী ভিত্তিতে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেবারও বিষয়েও তারা সম্মত হয়েছে।

সে সংবাদ সম্মেলনে মি: কেরির পাশে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভ এবং সিরিয়া বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত।

মি: কেরি বলেছেন এই যুদ্ধবিরতি ইসলামিক স্টেট (আইএস) এবং আল-নুসরা ফ্রন্টের জন্য কার্যকরী হবেনা।

তিনি বলেন এই যুদ্ধবিরতির বিষয়টি বেশ কঠিন হতে পারে। কারণ এই উদ্যোগকে সবগুলো পক্ষ কতটা সম্মান করবে তার উপর সফলতা নির্ভর করবে।

অবরুদ্ধ এলাকাগুলোতে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেবার জন্য জাতিসংঘের একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে।

মি: কেরি এবং মি: ল্যাভরভ মনে করেন সিরিয়ার সরকার এবং বিদ্রোহীদের মধ্যে অতিদ্রুত শান্তি আলোচনা শুরু করা উচিত।

 

এই যুদ্ধবিরতির বিষয়ে বৃহৎ শক্তিগুলো এমন এক সময়ে সম্মত হলো যখন রাশিয়ার বিমান হামলার সহায়তা নিয়ে সিরিয়ার সরকারী বাহিনী আলেপ্পোর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এই এলাকাটি সরকার বিরোধীদের দখলে।

প্রায় সাড়ে বছর আগে সিরিয়ার সংঘাত শুরু হয়। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করতে আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমা দেশগুলো অনেক চেষ্টা করেছে।

কিন্তু সিরিয়ার যুদ্ধে প্রেসিডেন্ট বাশারের পক্ষে রাশিয়া সম্পৃক্ত হবার পর পরিস্থিতি দ্রুত বদলাতে থাকে।

রাশিয়া বলছে জঙ্গিগোষ্ঠি ইসলামিক স্টেট বা আইএসকে লক্ষ্য করে তাদের বিমান হামলা চালানো হচ্ছে।

কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলো অভিযোগ করে প্রেসিডেন্ট আসাদ বিরোধীদের লক্ষ্য করে রাশিয়া বিমান হামলা চালাচ্ছে।

গত সাড়ে চার বছরের যুদ্ধে সিরিয়ায় ৬৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। জাতিসংঘের হিসেবে এখনো পর্যন্ত এই যুদ্ধ আড়াই লাখ মানুষ মারা গেছে।

সিরিয়া থেকে হাজার হাজার শরণার্থীর স্রোত ইউরোপের দিকে গেছে।

এতদিন পরে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে বৃহৎ শক্তিগুলো যে একমত হয়েছে সেটি কতটা কার্যকর হবে তা এখন দেখার বিষয়।

 

সুত্রঃ বিবিসি বাংলা ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে