মারুফ সরকার, সিরাজগঞ্জ থেকেঃ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সিরাজগঞ্জে বেসরকারী নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের লেকচারার ডা. তুহিন নেপাল থেকে পড়তে আসা একই কলেজের ৪র্থ বর্ষের এক ছাত্রীর সম্ভ্রম হরণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর নালিশ করেছে। এ ঘটনার পর পুলিশ রবিবার বিকেলে ডা. তুহিনকে শহরের ধানবান্ধি মহল্লার তার ভাড়া বাসা থেকে সিরাজগঞ্জ সদর থানা হেফাজতে নিয়ে এসেছে। এ ঘটনায় আজ সোমবার দুপুরে নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. এসএম আকরাম হোসেন তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।

নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজের একটি সূত্র জানায়, লেখাপড়ার সুবাদে ডা. তুহিনের সাথে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে ডা. তুহিন ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। সম্প্রতি ওই ছাত্রী বিয়ের জন্য চাপ দিলে ডা. তুহিন নানা টালবাহানা শুরু করে।

শুক্রবার দুপুরে এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে কলেজে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিকেলে ওই ছাত্রী ডা. তুহিনের বাসায় গিয়ে আবারো বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এ সময় ডা. তুহিন ও তার স্ত্রী ছাত্রীকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এ ঘটনার পর রবিবার বিকেলে আবারো ওই ছাত্রী ডা. তুহিনের বাড়ি গেলে একই ঘটনার পুনরাবৃতি ঘটে। এ সময় ওই ছাত্রী পুলিশ ও কলেজ অধ্যক্ষকে জানালে বিষয়টি অবগত করলে পুলিশ ডা. তুহিনকে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় নর্থ বেঙ্গল কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করেছেন।

এ ব্যাপারে সোমবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ সদর থানা হেফাজতে ডা. তুহিনের সাথে কথা বলতে গেলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. এসএম আকরাম হোসেন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সব কিছু জানা যাবে।

সিরাজগঞ্জ সদর থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্ত ডাক্তারকে থানায় আনা হয়েছে। মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন। তদন্তের পর কোন অভিযোগ দেয়া হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে