মারুফ সরকার, সিরাজগঞ্জ থেকেঃ সিরাজগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক পুরানো একটি মুসলমানদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হোসেনপুর লাল মসজিদ। এ মসজিদকে ঘিরে অনেক ইতিহাস রয়েছে। মসজিদটি ১৮৫৫ সালে প্রতিষ্ঠত হয়। সে সময় এমসজিদ নির্মাণে তৎকালীন হিন্দু জমিদার হোসেনপুরে এ মসজিদ স্হাপনে বাধা নিষেধ করায় এলাকার ধর্মপ্রান মুসলমানদের সাথে দাংগা ও দ্বন্দ্ব হয় । তখনকার জমিদারের কথা অমান্য করে এলাকার মুসলমানেরা মসজিদ গড়ে তোলার ঘোষণা দেন। এবং বলেন, আমরা রক্ত দেব, রক্তাক্ত লাল হব তবু ও এখানে মসজিদ হবে।
সেই ঘোষণা থেকে নামকরণ হয় হোসেনপুর লাল মসজিদ।সে সময় সিরাজগঞ্জের হোসেনপুরের বিখ্যাত আলেম ও সমাজ সেবক মুন্সী মেহের উল্লাহর প্রচেষ্টায় এ মসজিদ স্হাপন করা হয়।মসজিদটি ৪২ একর জমির উপর হলে ও মসজিদটি ছিলো তুলনা আকারে ছোট। মসজিদের পাশে করা হয় কবরস্হান, সামনে করা হয় ঈদগাহ মাঠ। প্রাচীনকাল হতে টিনের মসজিদটি পরবর্তী সময়ে পাকা করণ করা হয়। গ্রামবাসীর সহযোগিতায় ১৯৯০-৯১ সালে মসজিদটি বড়আকার করে ২য় তলাভবনে পরিনত করা হয়। সম্প্রতি ২০১৮ সালে শুরু হয় ৩য় তলার কাজ ১৯ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে মসজিদটির ৩য় তলার ছাদ ঢালাইয়ের কাজের শুভ উদ্বোধন দোয়া ও মোনাজাতকরা হয়।
দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন, মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মোস্তফা মাহমুদ। প্রধান অতিথি হিসাবে ঢালাই কাজের ভিত্তি, দোয়া ও মোনাজাতে করেন, সিরাজগঞ্জ পৌরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান মনজুর হাসান মাহমুদ খুশি। এ সময় উপস্হিত ছিলেন, সমাজ প্রধান মাতব্বর গাজী আলতাফ হোসেন, লাল মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মফিজুল ইসলাম জিন্নাহ, সিনিয়র-সহসভাপতি আমির হোসন সুরুজ, সাধারণ সম্পাদক সুরুজ মিস্ত্রী, যুগ্নসম্পাদক নূরুল হক, অর্থসম্পাদক আখতার হোসেন, সদস্য গাজীশাহজাহান, সাইফুল ইসলাম, সুজাব্বত আলী, হাসান ইসতিয়াক তমাল সহ মহল্লাবাসীর একাংশ।