attohotta

বিডি নীয়ালা নিউজ(২৯ই ফেব্রুয়ারি১৬)-আসাদুজ্জামান সুজন(নীলফামারী প্রতিনিধি):  ব্যাটারী চালিত থ্রি হুইলার (অটোরিকসা) হারানোর দায়ে অটোরিকসার চালক মঞ্জুরুল আলমকে (৩০) সালিশ  বৈঠকে জরিমানা করা হলে তিনি গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারী)রাতে নীলফামারী সদর উপজেলার কচুকাটা ইউনিয়নের দুহুলী দোলাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ সোমবার দুপুরে লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। অটোচালক ওই গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে।

গ্রামবাসী জানায়, একই ইউনিয়নের দুহুলী বাজারপাড়ার রশিদুল ইসলামের মালিকানার একটি অটোরিকসা ভাড়ায় চালিয়ে সংসার চালাতো মঞ্জুরুল আলম। গত ১৪ ফেব্রুয়ারী যাত্রী নিয়ে মঞ্জুরুল রংপুর শহরে গিয়ে হারিয়ে ফেলে ওই অটোরিকসাটি। এতে মালিক রশিদুল ইসলাম অটোরিকসা দাবি করে। এ নিয়ে রবিবার সন্ধ্যায় দুহুলী বাজার এলাকার লোকজনের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে চালক মঞ্জুরুলকে এক লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।গরীব হওয়ায় ওই টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে মঞ্জুরুল ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত জড়িমানার টাকা দিতে চায়। কিন্তু  এ নিয়ে কোন চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত  না হওয়ায় পহেলা মার্চ পুনরায় একই স্থানে বৈঠকের দিন ধার্য্য করা হয়। সন্ধ্যার ওই সালিশ বৈঠক শেষে  রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে মঞ্জুরুল আলম।

মঞ্জুরুল আলমের বাবা লিয়াকত আলী ওই অটোরিকসা হারানো এবং সালিশ বৈঠকের কথা স্বীকার করে জানান, ওই বৈঠকের পর রাতে বাড়িতে এসে সামান্য ভাত খায় মঞ্জুরুল। এরপর বাড়িতে আত্মীয় থাকায় এক প্রতিবেশীর বাড়িতে ঘুমাতে যায়। সোমবার সকালে বাড়ির ৫০ গজ দুরে একটি জাম গাছের ডালে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী।

নীলফামারী সদর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুর রহিম বলেন, ‘এঘটনায় মঞ্জুরুল আলমের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার (মঞ্জুরুল) বাবা লিয়াকত আলী বাদি হয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছেন।’

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে