সাবেক সংসদ সদস্য, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও মুক্তিযুদ্ধকালিন বাতেন বাহিনীর প্রধান খন্দকার আবদুল বাতেন রোববার দিবাগত রাতে রাজধানীর ন্যামভবনস্থ নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)।
তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও রাজনৈতিক সহকর্মী রেখে গেছেন।
প্রধাননমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আবদুল বাতেনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন।
খন্দকার আবদুল বাতেন দীর্ঘদিন যাবৎ বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদের টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ও ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এদিকে খন্দকার আবদুল বাতেনের ভাতিজা খন্দকার সাজ্জাত হোসেন আপেলের বরাত দিয়ে বাসস’র টাঙ্গাইল সংবাদদাতা জানান, সাবেক এমপি খন্দকার আব্দুল বাতেন তার ন্যাম ভবনস্থ বাসভবনে প্রতিদিনের মতো রোববার রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। রাতের কোন এক সময় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। সোমবার সকালে পরিবারের সদস্যরা তাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে সোমবার দুপুরে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় তাঁর নিজ গ্রাম টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার কোনড়ায় শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর স্থানীয় গোরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দাফন করা হবে।
তাঁর মৃত্যুতে টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটুসহ নাগরপুর-দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গভীর শোক প্রকাশ করেন।

B/S/S/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে