rangpur

বিডি নীয়ালা নিউজ(৭ই ফেব্রুয়ার ১৬)এসএম লিটন (রংপুর প্রতিনিধি): জনসাধারণের সমর্থন পেলে হারাগাছ পৌরসভাকে একটি মডেল টাউনে পরিণত ও অত্যাধুনিক পিকনিক স্পট গড়ে তোলার প্রত্যাশা ব্যক্ত করলেন সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী ও সমাজসেবক মোনায়েম ফারুক। গতকাল শনিবার দৈনিক প্রথম খবর’কে দেয়া একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি এ অভিমত করেছেন।

জনসাধারণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে তার চিন্তা, চেতনা ও ভাবনা নিয়ে নিজেকে জনকল্যাণে আত্মনিয়োগ করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মত ব্যক্ত করেছেন।

যেহেতু হারাগাছ পৌরসভা একটি তৃতীয় শ্রেণীর পৌরসভা। এখানে অর্থনৈতিক আয়ের তেমন একটা পথ নেই, আয় বাড়ানোর জন্য এখানে একটি বড় ধরনের হাট সৃষ্টি করতে হবে। সৃষ্টিকৃত হাটের আয় দিয়ে পৌর জনবলের বেতন-ভাতা প্রদানে সহায়ক ভুমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

হারাগাছে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে, কিন্তু আদৌ শিশুদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। এসব প্রতিষ্ঠানে উল্লেখজনক উন্নয়ন ও পড়ালেখার মানোন্নয়ন বৃদ্ধি পায়নি। এ সমস্যা হতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর লেখাপড়ার মান বৃদ্ধি করতে প্রতিটি স্কুলে অভিভাবক সমাবেশ, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তির সমন্বয়ে আলোচনার পদক্ষেপ নেয়া হবে।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে হারাগাছের কৃতি সন্তান ফারুক বলেন, মানুষ আজ সভ্য সমাজে বসবাস করছে। আমরা দিন যতই অতিবাহিত হচ্ছে, ততই বাংলাদেশ উন্নয়নের ক্ষেত্রে এগুচ্ছে।  মাদক আমাদের যুব সমাজকে গ্রাস করে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এ পথ থেকে পরিত্রাণ পেতে আমাদের সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। আমি দায়িত্বে আসিন হলে অবশ্যই হারাগাছ পৌর এলাকাকে শতভাগ মাদকমুক্ত করতে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়ার পাশাপাশি যুব সম্প্রদায়ের জন্য ফ্রি ওয়াইফাই স্থাপনের ব্যবস্থা নিবো।

ফারুক বলেন, হারাগাছ পৌর এলাকায় হিউম্যান রাইটস এন্ড প্রেস সোসাইটির এক জরিপে দেখা ৩৬৫জন মেয়ে বিবাহযোগ্য অবস্থায় বাড়িতে রয়েছে, কন্যা দায় গ্রস্ত পিতা-মাতারা তাদের মেয়েকে অর্থাভাবে বিবাহ দিতে পারছেন না। দরিদ্র পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা দানে কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় পরিবারগুলো পড়েছে বিপাকে। তাদের মুক্ত করতে সমাজের বৃত্তবান, সরকারি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ পৌরসভার সমন্বয়ে একটি পৌর তহবিল গঠন করা হবে। যার মাধ্যমে কন্যা দায়মুক্ত করতে পিতামাতাকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের মধ্যদিয়ে মেয়েদের বিবাহ দেয়ার ব্যবস্থাকরণ।

হারাগাছকে আধুনিকায়ন করে তুলতে পরিকল্পনা মাফিক রিকসা, ব্যাটারী চালিত অটো রিক্সা ও সিএনজির পৃথক স্ট্যান্ড তৈরি করা হবে। যার মাধ্যমে এসব পরিবহণ পরিচালিত হবে। এবং খেলাধূলা করার মাঠ নেই, বিনোদনের জন্য নেই অডিটরিয়াম কিংবা কমিউনিটি সেন্টার, পিকনিক স্পট গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। জনসাধারণের জীবন মানের উন্নয়নের জন্য এসব সমস্যা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিরসন করার উদ্যোগ নিবো। এছাড়াও মুসলমানদের জন্য হারাগাছে কেন্দ্রীয় কবরস্থান ও হিন্দুধর্মালম্বী মানুষের জন্য কেন্দ্রীয় শ্বশান নির্মানের পরিকল্পনা রয়েছে তার।

এখানে পয়ঃনিস্কাশনের তেমন একটা পদক্ষেপ না থাকায় অপরিচ্ছন্ন থাকে হারাগাছ পৌর এলাকা, আর যত্রতত্র ভাবে ময়লা-আবর্জনায় পরিপূর্ণ দেখা যায়। অপরিচ্ছন্নতার কবল থেকে পৌরবাসীকে মুক্ত করতে যুগোপযোগী পরিকল্পনা গ্রহণ করে ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে।

হারাগাছ এলাকার ঐতিহ্য বিড়ি শিল্প আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে, কর্মসংস্থানের অভাবে মানুষ এখন রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাড়ি দিচ্ছে। অথচ এই শহরেই কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হলে এখানে তারা শ্রম বিক্রির মাধ্যমে আয় করে স্বনির্ভরতার দিকে এগুতে পারবে। সেদিক বিবেচনা করে মোনায়েম ফারুক বলেন, তিনি নির্বাচিত হলে হারাগাছ এলাকায় হস্ত ও কুঠির শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে। এজন্য বৃত্তবানসহ শিল্পপতি ব্যক্তিদের সহায়তা ও পরামর্শ নেয়া হবে।

এলাকার জনসাধারণের রায় পেলে হারাগাছ পৌরসভাকে একটি মডেল টাউন হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী সমাজসেবক মোনায়েম ফারুক।  নানান সমস্যা হতে হারাগাছ ও এখানকার জনসাধারণকে মৌলিক সেবা দিতে চাই সমর্থনদানের পাশাপাশি দোয়া ও আর্শিবাদ কামনা করেছেন তিনি।

এদিকে, প্রায় যুগের বেশির সময়কাল হতে হারাগাছের কৃতি সন্তান, সমাজসেবক মোনায়েম ফারুক নানাভাবে গরিব, অসহায় ও দুঃস্থ মানুষসহ বিভিন্ন স্থরের ব্যক্তিবর্গের পাশে থেকে সেবামূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছেন।

উল্লেখ্য গত পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন হারাগাছের কৃতি সন্তান সমাজসেবক মোনায়েম ফারুক।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে