ডেস্ক রিপোর্টঃ শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনে এবারও ভোটযুদ্ধ হবে চাচা-ভাতিজার মধ্যে। এবার এ আসন থেকে মহাজোট তথা আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান এমপি প্রকৌশলী একেএম ফজলুল হক চান।

অপরদিকে এমপি চানের বড় ভাই প্রয়াত সাবেক এমপি ডা. সেরাজুল হকের ছেলে ঐক্যফ্রন্ট তথা বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হয়েছেন সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেল।

৯ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারে পর প্রার্থিতা চূড়ান্ত হলে প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে চাচা ও ভাতিজা ভোটযুদ্ধের লড়াইয়ে নেমে পড়বেন। প্রকৌশলী একেএম ফজলুল হক চান নৌকা প্রতীক নিয়ে ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তারই ভাতিজা স্বতন্ত্র প্রার্থী হেদায়েতুল ইসলামের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন।

২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে প্রকৌশলী একেএম ফজলুল হক চান প্রথমবার ধানের শীষ প্রতীকের বিএনপির প্রার্থী ভাতিজা সাবেক এমপি মাহমুদুল হক রুবেলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচিত হন।

২০০১ সালে অনুষ্ঠিত ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের প্রার্থী এমএ বারীর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিএনপির প্রার্থী মাহমুদুল হক রুবেল নির্বাচিত হন।

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্র“য়ারির নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে রুবেল নির্বাচিত হলেও ওই বছরেই ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এমএ বারী নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে রুবেলের বাবা ডা. সেরাজুল হক বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হন।

৯৯৪ সালের ২৮ অক্টোবর এমপি ডা. সেরাজুল হক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলে উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বয়সে তরুণ মাহমুদুল হক রুবেল প্রথমবার এমপি নির্বাচিত হন।

১৭ বছর পর আবারও চাচা-ভাতিজা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুখোমুখি হচ্ছেন। ভোটারদের ধারণা, মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে চাচা-ভাতিজার মধ্যেই।

J/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে