ডেস্ক রিপোর্টঃ কোন কিছু পেতে হলে সে সম্পর্কে ধারণা বা শিক্ষা থাকা প্রয়োজন। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্যও তাই প্রয়োজন শান্তি শিক্ষা বা পিচ এডুকেশন। আর এই পিচ এডুকেশনে শিক্ষকদের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ কারণে গত এপ্রিলের শুরুতে রুমানিয়ার বুখারেস্টে ‌‌”শান্তি শিক্ষায় শিক্ষকদের ভূমিকা” শীর্ষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল শিক্ষার্থীদের মধ্যে শান্তির মূল্যবোধ রোপন করা।

”এটা মোটও সহজ কাজ নয়। কিন্তু পৃথিবীতে সব বড় বড় অভিযাত্রাই শুরু হয় ছোট্ট একটি পদক্ষেপ দিয়ে। শান্তি সম্পর্কে  শিক্ষা বা সচেতনতা সবচেয়ে মৌলিক পর্যায় থেকে শুরু করা উচিত। যাতে এর মাধ্যমে শিশুরা বুঝতে পারে যে, তাদেরও ভাল কিছু করার ক্ষমতা রয়েছে। তারাও তাদের জীবনে এবং ভবিষ্যতে তাদের পরিবারের অন্যান্যদের সত্যিকার পরিবর্তন আনতে পারে। আমি দেখতে চাই তারা অন্যকে সম্মান ও সাহায্য করাকে এবং সহনশীলতা গুরুত্ব দেয়। এগুলোই ভাল শিক্ষার্থী হতে সাহায্য করে, যারা এক সময় ন্যায়নিষ্ঠ বড় মানুষ হবে” বলছিলেন মি. ডুমিট্রু গাব্রিয়েল, সম্মেলনে অংশ নেয়া একজন শিক্ষকl

তিনি বলেনে, ”এই শান্তি শিক্ষা প্রকল্পে কাজ করতে পেরে তিনি খুব আনন্দিত, কারণ সাধারণ শিক্ষার সাথে আমি শান্তির বার্তাকে মিশিয়ে দিতে পারি। শিক্ষার্থীদের জন্য রোল মডেল হতে আমাদের শিক্ষকদের জন্য এটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা আমি উপলব্ধি করতে পারি। আমি ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য একটি শান্তিময় বিশ্ব তৈরি করতে এবং বিশ্বকে যুদ্ধমুক্ত করতেেআমি বিদ্যমান শিক্ষার সাথে শান্তি শিক্ষাকে যোগ করতে চাই। তাছাড়া এই শিক্ষা শুধু মাত্র আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যেই নয়, প্রত্যেক জায়গার শিক্ষার্থীদের মধ্যেই ছড়িয়ে দিতে হবে। কারণ, তারাই আমাদের ভবিষ্যত।”
রুমানিয়ার স্থানীয় এনজিও এবং HWPL নামের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা এই পিচ এডুকেশন বা শান্তির শিক্ষার কারিকুলাম প্রণয়ণ ও সমন্বয় করছে।

 HWPL এর কর্মকর্তাদের মতে, শান্তিকে ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য উত্তরাধিকার হিসেবে রেখে যাওয়ার জন্যই শান্তি শিক্ষাকে সাজানো হয়েছে। এজন্য শান্তি উপলব্ধির গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির এবং সাংস্কৃতিক শান্তির লালন করার উপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সংস্থাটি সম্প্রতি এ সম্পর্কিত বইপত্র বিতরণ করছে, যাতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে পরিচালিত বিশ্বব্যাপি শান্তির কর্মকাণ্ড এবং সমঝোতার বিবরণ রয়েছে। এগুলো বিভিন্ন স্কুল ও লাইব্রেরিতে বিতরণ করা হচ্ছে যাতে নাগরিকরা শান্তি কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণে আগ্রহী হয়।

রোমানিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, ইসরাইল, কসোভো, ফিলিপাইনস সহ বিশ্বের ২১টি দেশের ২০০টিরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদেরকে HWPL’র শান্তি একাডেমির আওতায় প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
তবে, HWPL ‘র কার্যক্রম আন্তর্জাতিক শান্তি কাঠামো ও আইনগত বাধ্যবাধকতা মেনেই তা করা হচ্ছে বলে সংস্থাটির চেয়ারম্যান জানান।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে