rana_plaza

বিডি নীয়ালা নিউজ(১৩ই মার্চ১৬)-বিনোদন ডেস্কঃ রানা প্লাজা সিনেমার প্রদর্শন বন্ধে সেন্সর বোর্ডের আপিল বিভাগ কর্তৃপক্ষের নেয়া সিদ্ধান্ত কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। চলচ্চিত্রটির প্রযোজক শামীমা আক্তারের করা এক রিট আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এদিকে এ মামলার বিবাদী হয়ে আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে ‍নুর তাপস।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তথ্য, স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন সচিবসহ সংশ্লিষ্ট ১৩জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আট তলা রানা প্লাজা ভেঙে পড়ে। ওই ঘটনায় এক হাজার ১৩৫ জন নিহত হন এবং সহস্রাধিক শ্রমিক আহত হন।  ধসের ১৭ দিনের মাথায় ১০ মে বিকালে ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে রেশমা আক্তারকে জীবিত উদ্ধার করা হলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ওই বছরই রানা প্লাজা ধস ও রেশমাকে উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ নেন পরিচালক নজরুল ইসলাম খান। বিভিন্ন দৃশ্যের কারণে এ চলচ্চিত্রের ছাড়পত্র দীর্ঘদিন আটকে থাকলেও শেষ পর্যন্ত গত বছরের ১৬ জুলাই বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড ‘রানা প্লাজা’ চলচ্চিত্রকে সনদপত্র দেয়।

সে অনুযায়ী ৪ সেপ্টেম্বর ৫০টির বেশি হলে সিনেমাটি মুক্তি দেওয়ার উদ্যোগ নেয় প্রযোজক সংস্থা।

তবে বাংলাদেশ ন্যাশনাল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স এমপ্লয়িজ লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলামের করা একটি রিট আবেদনে ‘রানা প্লাজা’র প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে প্রযোজক শামীমা আক্তার আপিল বিভাগে গেলে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ গত ৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দেন।

এরপর এ চলচ্চিত্র মুক্তি দিনে ১১ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পর্যালোচনায় ‘রানা প্লাজা’ মুক্তিতে বাধা কাটলেও সেন্সর আপিল কমিটিতে আবেদন করার পর গত ৩ নভেম্বর এই চলচ্চিত্রটি প্রদর্শনে স্থগিতাদেশ দেয় তথ্য মন্ত্রণালয়।

ওইদিন এক আদেশে মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, আপিল আবেদন নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত চলচ্চিত্রটির প্রদর্শন সারা দেশে স্থগিত থাকবে।পরবর্তীতে ৪ জানুয়ারি  এ সিনেমা প্রদর্শন করা যাবে না বলে সিদ্ধান্ত দেয়। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আসে শামীমা আক্তার।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে