12717234_953661278054285_7967231865779686870_n

বিডি নীয়ালা নিউজ(২১ই ফেব্রুয়ারী১৬)-ঢাকা প্রতিনিধিঃ রাত ১২টা ১ মিনিটের পর প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে প্রধানমন্ত্রী শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।  একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহান ভাষা শহীদদের প্রতি জাতির পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তারা।

এ সময় তারা ভাষা শহীদদের স্মরণে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

এরপর মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। পরে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শহীদদের স্মরণে শহীদ বেদিতে ফুল দেন।

এরপর ১২টা ৫ মিনিটের দিকে বায়ান্নর ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানান জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ ও জাতীয় পার্টির নেতারা। এসময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদও ছিলেন। এসময় আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানান আইজিপি একেএম শহিদুল হক, এরপর পর্যায়ক্রমে তিন বাহিনীর প্রধান, পুলিশের মহাপরিদর্শক, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ভাষা সৈনিক এবং বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার ও বিদেশি সংস্থার প্রধানরা শ্রদ্ধা জানান।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা জানানোর পর সর্ব সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয় শহীদ মিনার এলাকা। এরপর থেকে বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। একে একে সরকারি দল আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, আওয়ামী প্রজন্ম লীগ, বাংলা একাডেমি, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদ মিনারের বেদিতে শ্রদ্ধা জানায়।

ভাষা শহীদদের প্রতি শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া সহ দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এদিকে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে শুক্রবার দিনগত রাত ১০টার পর থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এর আশপাশের এলাকায় জড়ো হতে থাকেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

এ সময় শাহবাগ, আজিমপুর, নীলক্ষেতসহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারমুখী প্রতিটি প্রবেশপথেই ছিল মানুষের মিছিলের সারি। সারা রাত থাকবে এই মানব ঢল। অন্যদিকে ভোরে প্রভাত ফেরির আয়োজনও চলছে জোরেসোড়ে। শহীদ মিনারের আশপাশের এলাকায় মাইকে বাজানো হচ্ছে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো’,‘সালাম সালাম হাজার সালাম’সহ কালজয়ী একুশের গান।

 

দিবসটি উদযাপনে শনিবার জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে, উত্তোলন করা হবে শোকের কালো পতাকা। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন দিবসটি উপলক্ষে আলাদা আলাদা কর্মসূচি গ্রহণ করে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে