liton 6...2..

বিডি নীয়ালা নিউজ(৭ই ফেব্রুয়ার ১৬)এসএম লিটন (রংপুর প্রতিনিধি): রংপুরে জমি ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হামলা, ঘরবাড়িতে বসবাস করতে না  দেয়াসহ মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে হয়রানীর করে আসছে। এ ঘটনায় গতকাল শনিবার নগরীর পূর্ব শালবনস্থ ভাষা ক্যাফেতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী দ্বিতীয় মা তার সন্তানদের নিয়ে অসহাত্ব জীবন যাপন করার ঘটনা তুলে ধরে রসিক মেয়রের রায় অবিলম্বে কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন।

ভুক্তভোগী মাহামুদা বেগম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, বিগত ১৯৯৪সালে পূর্ব শালবন এলাকার বাসিন্দা প্রাক্তন পুলিশ কর্মকর্তা আবুল কাশেম ২স্ত্রীসহ তার ১০ ছেলেমেয়ে রেখে মারা যান। মাহামুদা বেগম তার স্ত্রী। তার  ৩ছেলে ও ২ মেয়ে এবং ১ম স্ত্রীর  ৪ছেলে ও ১মেয়ে রয়েছে। এরমধ্যে ১ম স্ত্রী ফিরোজ বেগম ও তার ছেলে আবু হায়াত ভুট্টু মারা যান। সন্তানদের মধ্যে ভুট্টু মৃতকালে তার  ২মেয়ে রেখে যান। এদিকে, মৃতকালে আবুল কাশেম তার সম্পত্তিসহ নবাবগঞ্জ বাজারের ৩টি মিষ্টির ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান (দোকান) রেখে যান, যা সমবন্টন করা হয়নি। প্রয়াত ১ম স্ত্রীর ছেলেদের হাতে বিভিন্ন সময়ে-অসময়ে নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে মাহামুদাসহ তার ছেলেমেয়েরা। এব্যাপারে রংপুর কোতয়ালী থানায় বিগত ২০০০সালের ২১আগষ্ট জিডি নং-৫৩৭, ২০০৬সালের ১৫জুন জিডি নং-৮৮৫, ২০০৯সালের ১৪মে জিডি নং-৯০৭, এবং ২০১৩সালের ৪জুন জিডি নং-১৮৯। প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে জিডি করা হয়। এরপর গ্রাম্য সালিশসহ ২০০৮সালের ৪নভেম্বর র‌্যাব-১৩ এবং রংপুর কোতয়ালী থানায় পৃথক অভিযোগ দায়ের করা হয়। এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ১০৭/১১৭ধারায় নালিশী দায়ের করেন। যার এম আর নং-১৮৩/১৫। ওই নালিশের প্রেক্ষিতে ১বছরের জন্য স্ত্রীর ছেলে আবুল গফুর আবুল কালাম আজাদ ও জাহাঙ্গীর কবীর, অবুল গফুরের ছেলে আকমল ও গাজীউল ইসলাম এবং মৃত আবু হায়াত ভুট্টু’র স্ত্রী সীমা বেগম মুচলেকা বন্ড দাখিল করেন। নানান অভিযোগের প্রেক্ষিতে রংপুর সিটি কর্পোরেশনে ২০১৪সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ও ৩০ সেপ্টেম্বর শুনানী সালিশ নামায় ৭/৯ ফিট পরিমাপের নবাবগঞ্জ বাজারস্থ ১টি দোকান ও বসত বাড়ির জন্য ৫লাখ টাকা আবু আলমগীরকে বুঝাই দেয়ার রায় দেয় কর্তৃপক্ষ। এবং রাং বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত পূর্বাস্থানে ওই পরিবার অবস্থান করবে মর্মে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। অথচ ওই রায় কার্যকর না করে উল্টো মাহমুদা বেগমের সদস্যদের বুঝায় দিতে বিভিন্ন টালবাহানা করে আসছেন। রায় কার্যকর করতে আরো ৩টি নোটিশ প্রেরণ করে। এদিকে রসিক মেয়র সরফুদ্দিন আহম্মেদ ঝন্টু’র দেয়া রায় বাস্তবায়ন না করে গত ৯জানুয়ারী রাত ১০টারদিকে রান্নাঘর ভাংচুড় করে আকমল ও গাজীউল ইসলাম। ঘরবাড়ি থেকে তার স্ব পরিবারকে বের করে দিয়ে ঘরে তালা বন্ধ করে দেয়। ফলে সদস্যরা এখন এক কাপড় পরিধান করে মানবেতর জীবন যাপন করে দিন কাটাচ্ছে।

ভুক্তভোগী মাহামুদা বেগম তার সন্তানদের নিয়ে অসহাত্ব জীবন যাপন করার গ্রাস থেকে বাঁচতে রসিক মেয়রের রায় অবিলম্বে কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বড় ছেলে আবু আলমগীর, মাহমুদুল, আবু আইয়ুব, আবু আজম, মেয়ে সুরাইয়া আক্তার সীমা ও রাতু রোমানা জ্যোতি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে