shekh-hasina-pm

বিডি নীয়ালা নিউজ(২৮ই এপ্রিল১৬)-অনলাইন প্রতিবেদনঃ মানুষের সব মৌলিক অধিকারের পাশাপাশি বিচার পাওয়ার অধিকারও প্রতিষ্ঠিত করতে আমরা কাজ করছ”, অনেক মানুষ বিচার পান না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা  বলেছেন।

যদিও আমিই একজন ভুক্তভোগী। সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে আমাদের বিচার পাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্র হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

অনুষ্ঠানে লিগ্যাল এইড কল সেন্টার জাতীয় হেল্পলাইনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ হেল্পলাইনে (১৬৪৩০) ফোন করে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার মাধ্যমে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা পাবেন দেশের স্বল্প আয়ের ও অসহায় বিচারপ্রার্থী নাগরিকরা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বহু মানুষ বিচার পান না, অনেকে মিথ্যা মামলায় বছরের পর বছর ধরে কারাগারে পড়ে আছেন। তারা বা তাদের পরিবারের সদস্যরা জানেনই না যে, কিভাবে এ দুঃসহ যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, কিভাবে আইনগত সহায়তা পেতে হয়। তাদের কল্যাণেই জাতীয় আইনগত সহায়তা কর্মসূচি চালু করেছে সরকার।

সমাজের অসহায়-দরিদ্র মানুষের সব ধরনের আইনি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা স্বাধীন জাতি। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। স্বাধীন দেশে তিনি একটি সংবিধান দিয়ে গেছেন। যেখানে মানুষের সব মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর সেই সংবিধানের পদাঙ্ক অনুসরণ করছি।

পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করা হলো। এরপর যেন এ হত্যাকাণ্ডের কোনো বিচার না হয়, সেজন্য একটি অধ্যাদেশ জারি করা হলো। আমাদের বিচার চাওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়। তবে, জনগণের রায়ে ২১ বছর পর ক্ষমতায় এসে আমরা সেই অধ্যাদেশ বাতিল করে ওই বর্বর হত্যাকাণ্ডের বিচার করি।

বিচার চাওয়ার অধিকার সকলেরই উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,সমাজের সবাই বিচার চাওয়ার অধিকার পেলে অবহেলিত-নিম্নবিত্ত মানুষরা কেন পাবে না?

তিনি এসময় অন্ন-বস্ত্র-স্বাস্থ্য-শিক্ষাসহ বিভিন্ন খাতে সরকারের নানা উন্নয়নমুখী পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন। তুলে ধরেন দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ হিসেবে গড়ে তুলতে ডিজিটাল কার্যক্রমেরও।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে