ডেস্ক রিপোর্ট: সবশেষ কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হেরে বিদায় নেয় আর্জেন্টিনা। তাতে আরও দীর্ঘ হয়েছে দলটির শিরোপা-খরা। আন্তর্জাতিক শিরোপা জিততে না পারার আক্ষেপ আরেকবার পুড়িয়েছে তাদের সেরা তারকা ও অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে। তবে সেমিতে হারের পর নেতাসুলভ আচরণ দেখান ৩২ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। ড্রেসিং রুমে দলের উদ্দেশে দেন অনুপ্রেরণাদায়ক বক্তব্য। তার কথাগুলো ছুঁয়ে যায় সতীর্থদের হৃদয়, নাড়া দেয় ভীষণভাবে। তাতে সতীর্থ আর্জেন্টাইন ফুটবলাররা চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি, এমনটাই জানিয়েছেন অ্যাঙ্গেল দি মারিয়া।

১৯৯৩ সালে শেষবার কোনো আন্তর্জাতিক শিরোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। এরপর গত ২৬ বছরে বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেললেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি আলবিসেলেস্তেরা। মেসির নেতৃত্বে চলতি বছরের কোপায় তাদের অভিযান শেষ হয় সেমিতে গিয়ে। ফলে রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা এই ফুটবলারের জাতীয় দলের জার্সিতে প্রাপ্তির খাতাটা ফাঁকাই রয়ে গেছে।

তবে কোপায় ফের ব্যর্থ হলেও মেসির নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন তার জাতীয় দলের সতীর্থ ও পিএসজি উইঙ্গার দি মারিয়া। গেল জুলাইতে ব্রাজিলের কাছে ২-০ গোলে হারের পর আর্জেন্টিনার ড্রেসিং রুমে যা হয়েছিল তা তিনি জানিয়েছেন ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে, ‘মেসি খুব সুন্দর কিছু কথা বলেছিল। মেসি বলেছিল যে, আমরা যে দল গড়েছি তা নিয়ে সে গর্বিত।’

‘মেসি বলেছিল যে, আমরা বেশি দিন ধরে একসঙ্গে নেই কারণ কয়েকজন (মূল দলে) আগে ডাক পায়নি। তারপরও যেন মনে হচ্ছে, আমরা সবাই অনেক বছর ধরে একসঙ্গে রয়েছি।’

‘সে বলেছিল যে, প্রথম দিন থেকে আমরা সবাই একই লক্ষ্যের দিকে চলেছি। তরুণ খেলোয়াড়রা এই জার্সির প্রতি যে নিবেদন দেখিয়েছে তাতে তাদেরকে নিয়ে সে খুবই গর্বিত এবং তারা যোগ্যতার মাপকাঠি অতিক্রম করেই সেখানে (জাতীয় দলে) জায়গা করে নিয়েছিল এবং কোপা আমেরিকায় নিজেদের নিংড়ে দিয়েছিল।’

‘যখন মেসি কথা বলা শেষ করেছিল, সবার চোখ ছিল অশ্রুসিক্ত, বিশেষ করে তরুণ খেলোয়াড়দের কারণ তার কথাগুলো সবার মন ছুঁয়ে গিয়েছিল।’

ক্লাব পর্যায়ে বার্সেলোনার হয়ে সব শিরোপাই মেসি জিতেছেন। তর্কসাপেক্ষে সময়ের সেরা তো বটে-ই, ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলারের তকমাও তার গায়ে সাঁটানো। কিন্তু ক্লাবে তুখোড় হলেও আর্জেন্টিনাকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ মেসি- এই অভিযোগ বরাবরই রয়েছে। তবে দি মারিয়া এসব উড়িয়ে দিয়েছেন, ‘তাকে ঘিরে অনেক সমালোচনা ছিল, যেমন- সে জাতীয় সঙ্গীত গায় না, সে কথা বলে না। তবে এই কোপা আমেরিকা ছিল ভিন্ন। সে তা প্রমাণ করেছে। আমাকে যা সবচেয়ে খুশি করেছে তা হলো যেভাবে সে দলের সামনে কথা বলেছিল, যেভাবে সে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছিল।’

‘গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো লিও এমনই। আর আমি এই মেসিকেই পছন্দ করি।’

V/P/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে