আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ মেক্সিকো সীমান্তে শরণার্থী ঠেকাতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অভিবাসন সংক্রান্ত নির্দেশে স্বাক্ষর করেছেন তিনি।  সেই নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যারা বেআইনিভাবে ঢুকবে, তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইতে পারবে না। ফলে আমেরিকায় শরণার্থীর বিরুদ্ধে কড়া প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া আরও সহজ হয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।

বহু অভিবাসীই আমেরিকায় এসে রাজনৈতিক আশ্রয় চায়। যতদিন না তাদের আইনগত আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে, তারা কোনও সরকারি সুবিধা পায় না৷ কিন্তু এর ফলে জনসংখ্যার উপর চাপ বাড়ে। প্রভাব পড়ে কর্মসংস্থান এবং পরিবেশের উপরেও। তাই ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বেআইনি অভিবাসীদের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের নতুন এই নির্দেশে দেশের দক্ষিণে মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যারা বেআইনিভাবে আমেরিকায় ঢুকবেন, তারা আশ্রয় চাওয়ার সুযোগই পাবে না। তাদের আটক করতে বা নিজের দেশে ফেরত পাঠাতে পারবে মার্কিন প্রশাসন। প্যারিসের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে ট্রাম্প জানিয়েছেন, দেশে ঢোকার বৈধ ‘এন্ট্রি পয়েন্ট’-এ আসতে হবে অভিবাসীদের। সেখান দিয়ে যারা ঢোকার অনুমতি পাবে, তারা পরে আশ্রয় চাইতে পারবে। যার জেরে আশ্রয় চাওয়ার আবেদনের সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বেশ কয়েকটি মুসলিম প্রধান দেশের নাগরিকের আমেরিকায় ঢোকা রুখতে ট্রাম্প যে ধরনের ক্ষমতা প্রয়োগ করেছিলেন, এটিও সেই ধরনের। তাই মনে করা হচ্ছে, আগেরবারের মতো দ্রুত এই নির্দেশ আদালতে পরীক্ষার মুখে পড়বে। ইতিমধ্যেই বৃহস্পতিবার আদালতে ধাক্কা খেয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। শিশু অবস্থায় বেআইনিভাবে যারা আমেরিকায় এসেছে, তাদের সংক্ষেপে ‘ড্রিমার্স’ বলা হয়। এমন হাজার হাজার ড্রিমার্সের জন্য বারাক ওবামার আমলে কয়েকটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছিল। তাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য-সহ ন্যূনতম  সুবিধা দিত মার্কিন প্রশাসন।

ট্রাম্প প্রশাসন তা প্রত্যাহার করতে চেয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আপিল আদালত জানিয়েছে, ওই সমস্ত প্রকল্প চালিয়ে যেতে হবে। কিন্তু আদালতে হেরে গেলেও চিন্তিত নন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘ডেফারড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভাল’ সংক্রান্ত ওই নির্দেশকে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ জানাবেন। সম্প্রতি ট্রাম্প মনোনীত রক্ষণশীল বিচারপতি ব্রেট কাভানা সুপ্রিম কোর্টের দায়িত্ব নিয়েছেন। তাই সেখানে প্রশাসন সুবিধা পেতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

B/P/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে