04

বিডি নীয়ালা নিউজ(২৬ই এপ্রিল১৬)-অনলাইন প্রতিবেদনঃ  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা পরিকল্পনার মামলায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবী এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্তকারী সংস্থা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি সূত্র জানায়,  রিমান্ডে থাকা শফিক রেহমানের সঙ্গে মুখোমুখি করা হবে মাহমুদুর রহমানকে। শফিক রেহমানের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য যাচাই করতেই তাদের মুখোমুখি করা হচ্ছে। মাহমুদুর রহমান বর্তমানে কারাগারে আছেন। যে কোনো সময় তাকে ডিবিতে নেওয়া হবে। শফিক রেহমান বর্তমানে দ্বিতীয় দফায় ৫ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। ডিবি পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন ডিবি কর্মকর্তা জানান, রিমান্ডে জেরার মুখে শফিক রেহমান সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যা পরিকল্পনার চক্রান্তে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বলেছেন, তিনি ‘বিএনপির হাইকমান্ডের নির্দেশে এই ষড়যন্ত্রে অংশ নেন’। বিশেষ করে এ ষড়যন্ত্রে নিজেকে জড়ানোর জন্য দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকেও দায়ী করেন তিনি। মাহমুদুর রহমানই তাকে এ বিষয়ে সামনে থেকে দিকনির্দেশনা দেন।

মাহমুদুর রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি আমেরিকায় গিয়ে এফবিআইয়ের এজেন্টের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর জয় সংক্রান্ত বেশ কিছু নথিপত্র তার হাতে এলে তিনি নিজের কাছে গচ্ছিত রাখেন। পরবর্তীতে আমেরিকা ও লন্ডনে এই নিয়ে তিনি অনেকের সঙ্গে বৈঠক করেন। দেশে ফিরে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতার সঙ্গে কথা বলেন। ওই সব নেতারা তাকে বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত কৌশলে আগাতে বলেন। তিনি সেভাবেই অনেক ভেবেচিন্তে সাবধানতার সঙ্গে চলছিলেন। কিন্তু বিষয়টি এফবিআইয়ের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়ে গেলে তিনি কিছুটা ব্রিবত হন।

শফিক রেহমানকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ডিবির ওই কর্মকর্তা বলেন, সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ পরিকল্পনার চক্রান্তে শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানসহ এখন পর্যন্ত সাতজনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে।

অন্যরা হলেন— যুক্তরাষ্ট্র শাখার জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহমেদ সিজার, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক মিল্টন ভূঁইয়া, যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর (এফবিআই) এজেন্ট  জোহান্স থ্যালার ও তার বন্ধু রাবার্ট লাস্টিক। এরাই ২০১১ সালে জয়কে অপহরণ ও হত্যার প্রথম ষড়যন্ত্র শুরু করেন। ২০১২ সালে আমেরিকায় ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেন শফিক রেহমান।

এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে বিএনপির আরও কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। তিনি আরও বলেন, শফিক রেহমান ও অন্যান্য বিভিন্ন সূত্র থেকে গোয়েন্দারা নিশ্চিত যে মাহমুদুর রহমান এই অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার পরিকল্পনাকারীদের অন্যতম। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা গেলে আরও অনেক রহস্যই উন্মোচিত হবে। পাঁচ দিনের রিমান্ড : জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগের মামলায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের পাঁচ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। শুনানি শেষে গতকাল ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবী এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে এ রিমান্ড শেষ করে তামিল প্রতিবেদন দিতে তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।

গত ১৮ এপ্রিল একই আদালতে মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হাসান আরাফাত। ওই দিন আদালত এই মামলায় মাহমুদুর রহমানকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে তার রিমান্ড শুনানির জন্য ২৫ এপ্রিল দিন ধার্য করেন।

সূত্রঃ বিডি-প্রতিদিন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে