20160301_133050

বিডি নীয়ালা নিউজ(১ই মার্চ১৬)- আসাদুজ্জামান সুজন (নীলফামারী প্রতিনিধি):  নীলফামারী জেলায় প্রকৃতিতে  শীতের বিদায়ের সাথে সাথে  বসন্তের আগমনে ফাল্গুনের হাওয়া
চারদিকে মুখরিত।  আর এরেই সাথে নীলফামারীর আমবাগানগুলো আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে ভরে  গেছে।  নীলফামারী জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আমের মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ চারিদিকে কেবল মৌ মৌ করতে শুরু করেছে। মুকুলে সেই সুমিষ্ট সুবাস আলোকিত করে তুলছে মানুষের হৃদয়।
বনফুল থেকে মৌমাছির দল গুণগুণ করে ভিড়তে শুরু করেছে এই সব আমের মুকুলে। গাছের
শাখার পর শাখায় ফুলগুলো চারিদিক যেন ফাল্গুনের রূপের ঝলসানোময় উচ্ছ্বাসের জানান দিচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার (০১ মার্চ) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নির্দিষ্ট সময় জুড়ে প্রায় চারিদিকে নানা শ্রেণী পেশার মানুষেরও দৃষ্টিও থাকে চির সবুজ আম গাছের মগডালে।
আম গাছে মকুল ফোটার এ দৃশ্য ছেঁয়ে গেছে নীলফামারী জেলা সদরসহ প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও। জেলার সব এলাকাতেই এখন কম-বেশি রয়েছে আমের বাগান। লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই এই আমের বাগানের সংখ্যা বাড়ছে। আম বাগানের মালিক কানিয়ালখাতা গ্রামের বিনোত রায় বলেন, কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছর আম চাষের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, যে জমিতে অন্য কোন ফসল হয়না সেখানে আমবাগান করলেই অধিক মুনাফা পাওয়া যায়। আমবাগান শুধু একটি ফসল নয়, অনেক বেকারের কর্মসংস্থান সুষ্টি হয় এই বাগান করে।

20160301_133056

নীলফামারী জেলা কৃষি অফিস জানায়, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার আম গাছে খুব একটা কীটনাশক প্রয়োগের প্রয়োজন হবে না। তবে ছত্রাক জনিত রোগেও আমের মুকুল ফুল গুটি আক্রান্ত হতে পারে। এক্ষেত্রে ম্যানকোজেব গ্রুপের ছত্রাক নাশক ২ গ্রাম অথবা এ মাডোক্লোরিড গ্রুপের
দানাদার প্রতি লিটারে ২ গ্রাম তরল .২৫ মিলি মিটার ও ১ মিলি লিটার মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। আবার মুকুল গুটিতে রূপান্তরিত হলে একই মাত্রায় ২ বার স্প্রে করতে হবে। এতে ছত্রাক জাতীয় রোগ থেকে আমের মুকুলগুলো রক্ষা পাবে সেই সাথে জেলায় বাম্পার আমের ফলন হবে বলে তিনি আশা করেন।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে