IMG_0106
বিডি নীয়ালা নিউজ(১৯ই মার্চ১৬) নাজমুল হক হৃদয়( চট্রগ্রাম, প্রতিনিধি):বান্দরবান পার্বত্য জেলার রোয়াংছড়ি উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকার পাহাড়ী গ্রাম থেকে মিয়ানমারে(বার্মা) পাচার হওয়া ১১জন আদিবাসী মারমা তরুণীকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। শনিবার সনদয় ৬টায় তারা মিয়ানামার(বার্মা) মংডৃ নাইসাদং আশ্রম থেকে নদী পথে টেকনাফ-উখিয়া তুলাতলী সীমান্ত হয়ে পার হয়। তাদের মধ্যে ১১জন তরুণী ফিরে আনা হলেও হ্লাশৈপ্রুসহ ২জন(নারী) দালাল মিয়ানামার রয়ে গেছে। ফিওে আসা তরুনীদেও মধ্যে  শামংসাং পাড়ার বাসিন্দা উচনু মারমা মেয়ে মেসিনু মারমা(১৫), নয়াপাড়ার মৃত: থোয়াইনু মারমার মেয়ে মেথুইচিং মারমা(১৪), বইখ্যং নয়াপাড়ার মংপ্রু’র মেয়ে মাখ্যাইচিং মারমা(১৬), নয়াপাড়ার ক্যহ্লাচিং মারমা’র মেয়ে থুইঞো মারমা(১৫), তালুকদার পাড়ার মংপ্রুহ্লা মারমার মেয়ে পাইনুচিং মারমা(১৫), রাজবিলা হাপিগ্যই পাড়ার রেথোয়াইপ্রু মারমা মেয়ে নুক্রইঞো মারমা(১৫), মনজয় পাড়ার পুথোয়াইচিং মারমার মেয়ে সিংদাইউ মারমা(১৫),রাঙামাটি’র হ্লুইজা মারমা(১৮),বেতবুনিয়ার সানুচিং মারমা(১১),¤্রুংখ্রং পাড়ার হ্লাশৈপ্রু মারমা(১৯), ও রুমা উপজেলার শৈরাদং পাড়ার মেম্যাচিং মারমা(১৫)সহ ১১তরুণী। 
পুলিশ ও বিজিবি সূত্র জানায়,শনিবার ভোরে মিয়ানমারের নাইংসাদং সীমান্তের ওপার থেকে নৌকায় করে বাংলাদেশের এপারে তুলাতলী সীমান্ত হয়ে প্রবেশ করেছে। তাদেরকে বান্দরবানের পুলিশের একটি বিশেষ টিম শনিবার সকালে বান্দরবানে নিয়ে আসে। তারা বান্দরবানের পথে রয়েছে। 
ওই তরুণীদেরকে জানুয়ারী মাসে রাঙামাটি’র মিতিঙ্গাছড়ি বৌদ্ধ বিহার থেকে ধর্মীয় শিক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেয়া হয় মিয়ানমারের মন্ডু জেলার নাইসাদং বৌদ্ধবিহারে।এঘটনায় মিতিঙ্গাছড়ি বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ উঃ স্বিরি ভিক্ষুকে গেল শুক্রবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ ।
বান্দরবান ডিবি’র ওসি মনজুর আলম বলেন, তিন দিন টেকনাফ এর মিয়ানমার সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করা হয় এই ১১তরুণীকে।সাথে পাচার কাজে জড়িত অভিযোগে নাইক্ষ্যংছড়ির সোনাইছড়ি হেডম্যান পাড়ার বাসিন্দা উচথোয়াই মারমা(৩৭)কে গ্রেপ্তার করা হয়।
বান্দরবান পুলিশ সুপার মো: মিজানুর রহমান বিষয়টি সত্যতার স্বীকার করে বলেন,বান্দরবানে পৌঁছার পর ১১তরুণীকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে