বিনোদন ডেস্কঃ ‘আজ আমরা এই আশা করতে পারছি যে পরবর্তীতে আবারো একটি ‘পারপাস প্রজেক্ট প্রেজেন্টেশন’র আয়োজন করতে পারবো। আমরা মনে করি, আবারো হেড টু হেড চ্যালেঞ্জ উইনারের সঙ্গে আমরা পরিচিত হব, যার জন্য তার নিজের দেশ গর্ব করতে পারে।’

আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজনকারী প্রতিষ্ঠান মিস ওয়ার্ল্ড এর ফেসবুক পেইজে মিস বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এসব কথা লিখে একটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে।

পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ২.২ বিলিয়ন ভিউয়ার ও ২০ মিলিয়ন পাবলিক ভোটের রেকর্ডের পর হেড টু হেড চ্যালেঞ্জ পর্বের মনোমুগ্ধকর ফাইনালে ২০ প্রার্থীর সংক্ষিপ্ত তালিকা মঞ্চে বিচারক প্যানেলে আনা হয়। মুহূর্ত আমরা মিস বাংলাদেশ হিসেবে জান্নাতুল  ফেরদৌস ঐশীকে পেয়ে যাই যিনি বিচারকদের কাছ থেকে উচ্চ প্রশংসা পেয়ে যান এবং মিস ওয়ার্ল্ড ২০১৮’র ফাইনালে শীর্ষ ৩০ জনে স্থান দখল করেন।

পোস্টে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, জান্নাতুল  ফেরদৌস ঐশীর জন্ম বাংলাদেশে, যে দেশটি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভ করে। ঐশী তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘আমি আমার দেশের ইতিহাস নিয়ে গর্বিত এবং একইসঙ্গে গর্বিত এই অনুষ্ঠানে দেশটির প্রতিনিধিত্ব করার জন্য। দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাদেশ এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে এবং প্রথমবারের মতো শীর্ষ ৩০ জনের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে।’ এ সময় তিনি বাংলাদেশের শিশুদের স্বাস্থ্য বিশেষ করে অটিজম নিয়ে কাজ করার আকাঙ্খা প্রকাশ করেন।

পোস্টে লেখা হয়েছে, এখন মিস বাংলাদেশ তার দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে গর্বিত। তার চারপাশের মানুষের সমর্থন লাভে তাকে অনুপ্রাণিত করা হচ্ছে। মিস বাংলাদেশ নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে তিন বিচারকের সমর্থন লাভ করায় তিনি তার অনুভূতি প্রকাশ করেন এভাবে:

‘আমি কৃতজ্ঞ এই সুযোগ পাওয়ার জন্য। আমি এগিয়ে যেতে চাই, নির্মাণ করতে চাই এবং আরো ভালো করতে চাই। জানি না এই প্রতিযোগিতায় আমি কতদূর যেতে পারবো এবং গ্র্যান্ড ফাইনালে কী ঘটতে পারে। যাচ্ছে কি জানি না। কিন্তু আমি অনেক খুশি যে আমি আমার দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছি।’

এটি সত্য যে, যারা নিজের সংস্কৃতি, সংগীত, ইতিহাসকে ভালোবাসে, মিস বাংলাদেশ তাদের সবার  ওপর একটি দুর্দান্ত ছাপ ফেলেছে। এটি তার জন্য একটি অবিস্মরণীয় বিজয়।

K/K/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে