মাদকের ভয়াবহতা তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, রাজধানীর কেরানীগঞ্জের এক মাদকাসক্ত সন্তানকে আটকের জন্য তার বাবা-মা আমার কাছে এসেছিলেন।

মঙ্গলবার (২৪ মে) সচিবালয়ে বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় ও পুনর্বাসন কেন্দ্রগুলোর মান উন্নয়নের জন্য অনুদানের চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাকে একদিন কেরানীগঞ্জের, আমি নাম বলবো না, তার বাবা-মা চলে আসছেন আমার কাছে। দুজনেরই অঝোরে কান্না। বলছেন যে, আমার ছেলেকে আপনি আটক করেন। আমি তখন বললাম- কেন তোমার ছেলেকে আটক করবো। জবাবে ওই সন্তানের বাবা-মা বলেন- আমরা কিছুই করতে পারছি না। আমার বাড়ি ঘরের সব জিনিস বিক্রি করে দিচ্ছে। আমরা তার বাবা-মা। আমাদেরও মারছে।

তিনি বলেন, আপনারা নিশ্চয়ই ঐশির কথা ভুলে যাননি। মাদকাসক্ত হলে মানুষ কী করে? তাদের যে জ্ঞান, তা হারিয়ে ফেলে, সবকিছু হারিয়ে ফেলে। সেটার জন্য তাদের মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন।

মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। আমরা সেই ব্যাপারে কাজ করছি।

এ সময় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ক্রাইটেরিয়া মেনে চললে মদের বিক্রির লাইসেন্স দেওয়া হবে বলে জানান আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, একটা হলো সফট ড্রাগস আরেকটি হলে হার্ড ড্রাগস। সফট ড্রাগস সারা বিশ্বেই চলছে। আমাদের এখানেও লাইসেন্সের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে, কয়েকটি হোটেল, রেস্টুরেন্ট ও ক্লাবকে লাইসেন্স দিয়েছি। তারা শর্ত মেনে চলছে। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে লাইসেন্স দিচ্ছি।

মন্ত্রী বলেন, এর আওতা বাড়বে কিনা এটা নির্ভর করে নিয়ম কানুন কতটা মেনে চলছে তার ওপর। এটা একটি চলমান প্রক্রিয়া। যারাই আমাদের নিয়ম মেনে চলতে পারবে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কয়েকটি ক্রাইটেরিয়া আছে যখন সেগুলো ফুলফিল করতে পারবে তখন তারা লাইসেন্স পাবে।

Jag/N

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে