কাওছার হামিদ, কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী)প্রতিনিধি: যদি লক্ষ্য থাকে অটুট বিজয় অসবে। এরেই এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া দর্জি পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দেওয়ানী পাড়া গ্রামের দরিদ্র কৃষক হেলাল উদ্দিনের তিন মেধাবী সন্তান।

প্রধান শিক্ষক তৌহিদুজ্জামান রতন প্রতিবেদককে জানান তারা তিন ভাই বোন মধ্যে মোঃ রাসেল ইসলাম রাজ ২০০৯ সালে, মোছাঃ রুবা আক্তার ২০০৯ সালে এবং সাকিব আল হৃদয় ২০১৩ সালে আমার বিদ্যালয় থেকে  প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ অর্জন করেন। কিন্তু দারিদ্রতা তাদেরকে কখনো থামাতে পারেনি। মাধ্যমিক শিক্ষার গন্ডি পেরিয়ে তারা এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে জায়গা দখল করে নিয়েছেন। মোঃ সাকিব আল হৃদয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক ইউনিটে চান্স পেয়েছেন,বড়ভাই রাসেল ইসলাম রাজ সভার সরকারি কলেজ ঢাকা প্রাণি বিজ্ঞান বিভাগে অনার্স তৃতীয় বর্ষে অধ্যায়রত, বড়বোন মোছাঃ রুবা আক্তার দিনাজপুর হাজী মোহাম্মাদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যায় অনার্স হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যায়রত। পিতা হেলাল উদ্দিন জানান অনেক কষ্ট করে আমার একমাত্র উপার্জন দিয়ে তিন ছেলে মেয়েকে লেখাপড়া করা কত কষ্টকর তা একজন বাবাই ভাল জানেন। তিনি বলেন একজন দরিদ্র কৃষক হয়ে ছেলে মেয়েদেরকে মানুষ করতে পেরেছি এটাই আমার জীবনের শ্রেষ্ট পাওয়া।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক ইউনিটে চান্স পাওয়া সাকিব আল হৃদয় জানান আমার এ সাফল্যের পিছনে বাবা মা ভাই বোনসহ স্কুল ও কলেজ শিক্ষকদের অবদান রয়েছে। সাকিব আল হৃদয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক ইউনিটে চান্স পাওয়া তার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তৌহিদুজ্জামান রতন ভর্তির জন্য ব্যক্তিগত ভাবে ১০.০০০(দশ হাজার) টাকা প্রদান করেন। প্রধান শিক্ষক জানান তিন ভাই বোন আমার বিদ্যালয় থেকে লেখা পড়া করেছে ওরা ছোট বেলা থেকেই মেধাবী ওদের এই সাফল্যে আমি গর্বিত এবং দোয়া করি তারা পড়াশুনা শেষ করে দেশ ও জাতির কল্যানে কাজ করবে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে