প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কালজয়ী সাহিত্যিক মাইকেল মধুসূদন দত্তের লেখনীতে ফুটে উঠেছে বাঙালির স্বজাত্যবোধ ও স্বাধীনচেতা মনোভাব।
তিনি মধুসূদন দত্তের ১৯৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রতি উৎসর্গীকৃত শ্রদ্ধাস্মারক ‘মধুমেলা’ প্রকাশের উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই। আমি আশা করি, এ শ্রদ্ধাস্মারক কবির অনন্য সাহিত্য প্রতিভা ও দেশাত্ববোধ নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যশোরের সাগরদাঁড়িতে ‘মধুমেলা’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং এ উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, সাহিত্যের প্রবাদ পুরুষ মাইকেল মধুসূধন দত্ত বাংলা সাহিত্যের আকাশে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর অনন্য সাহিত্যকর্ম বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। পুরাতন ধ্যান-ধারণা ও মূল্যবোধকে উপেক্ষা করে তিনি (মধুসূদন) বাংলা সাহিত্যকে নবজীবন দান করেছেন। তিনি আমাদের বিচিত্র কাব্য-সম্ভার উপহার দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, মধুসূদন দত্ত বাংলা ভাষায় মহাকাব্য রচনা এবং বাংলা কবিতায় অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রবর্তনের পথিকৃৎ। বিশ্ব সাহিত্যের ভা-ারে প্রবেশ করে মণি-মুক্তা আহরণ করে তিনি(মধুসূদন দত্ত) বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। নাটক, প্রহসন, মহাকাব্য, পত্রকাব্য, সনেট, ট্র্র্র্যাজেডিসহ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তাঁর অমর সৃষ্টি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে উন্নত মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
তিনি ‘মধুমেলা-২০১৯’র সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

B/S/S/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে