150414101409_chibok_640x360_bbc_nocredit

বিডি নীয়ালা নিউজ(১২ই এপ্রিল১৬)-অনলাইন প্রতিবেদনঃ শিশুদের ব্যবহার করে জঙ্গি বাহিনী বোকো হারামের বোমা হামলার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা বলছে, গত বছর যতোগুলো আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়েছে তার পাঁচটির মধ্যে একটি চালানো হয়েছে এই শিশুদের ব্যবহার করে।

এদের মধ্যে মেয়ে-শিশুর সংখ্যা বেশি। দেখা গেছে, তিন চতুর্থাংশ হামলাতেই এদেরকে ব্যবহার করা হয়।

বলা হচ্ছে, প্রায়ই ড্রাগ খাইয়ে তাদেরকে দিয়ে এসব হামলা চালানো হয়।

ইসলামপন্থী জঙ্গি বাহিনী বোকো হারাম এই শিশুদের দিয়ে ক্যামেরুন, নাইজেরিয়া এবং চাদে বোমা হামলা চালিয়েছে।

জাতিসংঘ বলছে, ২০১৪ সালে চারটি শিশুকে দিয়ে হামলা চালানো হয় কিন্তু তার পরের বছর অর্থাৎ ২০১৫ এবং এবছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়েছে ৪৪ জন শিশুকে।

অর্থাৎ এধরনের হামলার সংখ্যা ১১ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

গত সাত বছর ধরে বোকো হারামের জঙ্গি তৎপরতা সবচে বেশি চোখে পড়েছে নাইজেরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। এবং তার আশেপাশের এলাকায়।

এসব হামলায় ১৭,০০০ এর মতো মানুষ নিহত হয়েছে।

Haram-BG20160412181034

ইউনিসেফ বলছে, বোকো হারামের কারণে ক্যামেরুন, চাদ, নাইজেরিয়া এবং নিজেরে ১৩ লাখ শিশু তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

প্রায় দু’বছর আগে চিবোকের একটি স্কুল থেকে দুই শতাধিক মেয়ে-শিশুকে অপহরণ করে বোকো হারাম।

তাদের উদ্ধারের জন্যে সারাবিশ্বেই আলোড়ন উঠেছে।

কিন্তু আজ পর্যন্ত তাদের একজনকেও খুঁজে পাওয়া যায়নি।

প্রতিষ্ঠিত হয় ২০০২ সালে। প্রাথমিকভাবে তারা পশ্চিমা-ধাঁচের শিক্ষার বিরোধিতা করতো।

হাউসা ভাষায় বোকো হারাম কথাটির অর্থ ‘পশ্চিমা শিক্ষা নিষিদ্ধ’

সামরিক অভিযান শুরু করে ২০০৯ সালে

নিহত হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ, বেশিরভাগই উত্তর-পূর্ব নাইজেরিয়ায়। শত শত লোককে অপহরণ করা হয়েছে। তার মধ্যে স্কুলের অন্তত ২০০ ছাত্রী

তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের সাথে যোগ দিয়েছে বোকো হারাম। নিজেদেরকে তারা এখন আই এসের ‘পশ্চিম আফ্রিকান প্রদেশ’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকে।

সূত্রঃ বিবিসি

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে