স্পোর্টস রিপোটার : আগামী ৩০ মে ইংল্যান্ড এন্ড ওয়েলসে শুরু হতে যাচ্ছে আইসিসি বিশ্বকাপ ২০১৯। মেগা এ ইভেন্টের আগে বাংলাদেশ দণ বর্তমানে স্বাগতিক আয়ারল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজ খেলছে। মূলত বিশ্বকাপ প্রস্তুতি হিসেবেই এ সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে প্রথমবার অংশ নেয় বাংলাদেশ। তবে মেগা এ ইভেন্টে টাইগারদের সেরা সাফল্য ২০১৫ বিশ্বকাপে।
২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টারফাইনালে পরাজিত হয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় টাইগাররা। এবারও তাদেরকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করতে হবে।
এবার বিশ্বকাপ আসরে বাংলাদেশ দলের পরিসংখ্যান ও রেকর্ডের দিকে চোখ বুলানো যাক:
আইসিসি বিশ্বকাপে কিভাবে এলো বাংলাদেশ?
১৯৭৫ সালে আইসিসির সদস্য ছিলনা বাংলাদেশ এবং যে কারণে বিশ্বকাপের প্রথম আসরে অংশ নিতে পারেনি। ১৯৭৯-১৯৯৯৬ পরবর্তী পাঁচটি বিশ্বকাপেও অংশ নিতে পারেনি।
১৯৯৭ আইসিসি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা জিতে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ১৯৯৯ আসরে। তারপর থেকে প্রতিটি আসরেই খেলছে টাইগাররা।
১৯৯৯, ২০০৩ এবং ২০১১ তিন বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের বাধা পেরুতে পারেনি বাংলাদেশ দল। ২০০৭ আসরে খেলেছে সুপার এইট পর্ব। ২০১৫ বিশ্বকাপে খেলেছে কোয়ার্টারফাইনাল।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ও সর্ব নিম্ন স্কোর:
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ২০১৫ আসরে। নেলসনে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৩২২/৪। সর্ব নি¤œ স্কোর ২০১১ আসরে নিজ মাঠ মিরপুর শেরে-বাংলা স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫৮।
ব্যক্তিগত রেকর্ড: মাহমুদুল্লাহ এবং শফিউল ইসলামের রয়েছে বিশ্বকাপ রেকর্ড:
বিশ্বকাপ আসরে বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ অপরাজিত ১২৮ রানের রেকর্ড রয়েছে মাহমুদুল্লাহর। ২০১৫ বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি এ রেকর্ড গড়েন।
মজার বিষয় হচ্ছে বিশ্বকাপে বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে কেবলমাত্র মাহমুদুল্লাহরই (২টি) সেঞ্চুরি রয়েছে।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশী বোলারদের মধ্যে সেরা বেলিং পারফরমেন্স শফিউল ইসলামের। ২০১১ আসরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তার ২১ রান ৪ উইকেট শিকার বিশ্বকাপে টাইগার দলের সেরা বোলিং নৈপুণ্য।
এ ছাড়া এক ম্যাচে চার উইকেট শিকার রয়েছে মাশরাফি, সাকিব এবং রুবেল হোসেনের।
সাকিব আল হাসান: বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে সফল খেলোয়াড় সাকিব
বিশ্বকাপ আসরে শীর্ষ পারফরমার সিনিয়র অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান বাংলাদেশের হয়ে এ পর্যন্ত ২১ ম্যাচ খেলেছেন। তার সেরা বোলিং নৈপুণ্য ৫৫ রানে ৪ উইকেট শিকার। ৪ দশমিক ৯৯ গড়ে তার মোট উইকেট ২৩টি।
ব্যাট হাতে পাঁচ হাফ সেঞ্চুরিসহ মোট রান ৫৪০।
বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের আরো কিছু রেকর্ড:
বিশ্বকাপে সাকিব ছাড়া পাঁচশ’র বেশি রান করা একমাত্র খেলোয়াড় মুশফিকুর রহিম।
বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮টি ছক্কাও রয়েছে মুশফিকের।
ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসরে বাংলাদেশী খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫৮টি বাউন্ডারি মেরেছেন ওপেনার তামিম ইকবাল। সর্বোচ্চ ৯টি ক্যাচও এ তারকা ব্যাটসম্যানের।
২০১৫ আসরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাহমুদুল্লা- মুশফিকের ১৪১ রান বিশ্বকাপে টাইগার দলের সর্বোচ্চ জুটি।
২০১৯ বিশ্বকাপ: কিছু জরুরী বিষয় বাংলাদেশকে মোকাবেলা করতে হবে:
ওপেনার হিসেবে তামিম ইকবালের যথার্থ সঙ্গী খুঁজে নিতে হবে।
প্রতিদ্বন্দিতামূলক একটা রান অতিক্রম করতে শক্তিশালী মিডল অর্ডার দরকার।
টাইগার দলের আরেকটি দুঃশ্চিন্তার বিষয় বোলিং গভীরতার অভাব। তাছাড়া অধারাবাহিকতা দলকে ভোগাতে পারে।
তবে সব কিছু ঠিকভাবে হলে দলটি সেমিফাইনাল পর্যন্ত যাওয়ার ক্ষমতা রাখে।

বাসস

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে