insurance

বিডি নীয়ালা নিউজ(২৭ই মার্চ১৬)-অনলাইন প্রতিবেদনঃ বিমা সম্পর্কে সাধারণ মানুষের ধারণা পরিষ্কার না। অনেকেই বিমার নিয়ম-নীতি বা শর্ত ভালো করে না জেনে বিমা করে থাকে। পরবর্তীতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে বিমা কোম্পানির চাহিদা অনুযায়ী তথ্য ও কাগজপত্র দিতে ব্যর্থ হয়। একজন বিমা গ্রহীতা শর্ত পূরণ না করতে পারলে কোম্পানির পক্ষেও তার দাবি নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয় না। আর তখনই তারা বিমা খাত নিয়ে নেতিবাচক নানা কথা বলে। আমাদের দেশে বিমা সম্পর্কে মানুষের তেমন কোনো জ্ঞান নেই, রয়েছে শুধু নেতিবাচক ধারণা।

গতকাল শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিমা মেলা-২০১৬ এর শেষ দিনে অগ্রণী ইনসিওরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপকালে তারা এসব কথা জানায়।

অগ্রণী ইনসিওরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট অতুল চন্দ্র দাস  বলেন, ‘কিছু কোম্পানির জন্য এই সেক্টর সম্পর্কে নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে। তবে সেটা সব কোম্পানির জন্য প্রযোজ্য না। যেসব কোম্পানিতে অনিয়ম নেই তারা কিন্তু এগিয়ে যাচ্ছে। বিমা সম্পর্কে মানুষকে সঠিক জ্ঞান দানের পাশাপাশি সচেতন করতে পারলে একদিন ইতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হবে।’

‘বিভিন্ন কোম্পানির বিরুদ্ধে দাবি নিষ্পত্তি না করার অভিযোগ রয়েছে’ এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘গ্রহীতা যখন তার শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হয় তখন তার দাবি নিষ্পত্তি হয় না। যেমন, পরিবহন বিমার ক্ষেত্রে- নির্দিষ্ট রুটের গাড়ি বা পণ্যবাহী ট্রাক যদি অন্য রুটে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয় সেক্ষেত্রে বিমা কোম্পানি তার দাবি নিষ্পত্তি করবে না। এটা বিমার শর্তের মধ্যে উল্লেখ আছে। পণ্যবাহী গাড়ির বিমার ক্ষেত্রে গাড়িটির ধারণক্ষমতাও চুক্তিপত্রে উল্লেখ থাকে। কোনো গাড়ি ধারণক্ষমতার বেশি মালামাল পরিবহনের সময় দুর্ঘটনার শিকার হলে শর্ত অনুযায়ী বিমা কোম্পানি তার দাবি নিষ্পত্তি করবে না।’

অগ্রণী ইনসিওরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের কোম্পানি সেক্রেটারি (সিএস) শরীফ মাহমুদ বলেন, ‘একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমরা গাড়ির মালিকের কাছে লোকাল থানার (যে থানায় দুর্ঘটনা ঘটেছে) জিডির কপি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, রুট পারমিট, ফিটনেস সনদ, ট্রাক্স টোকেন, রেজিস্ট্রেশন সনদ, চালকের স্টেটমেন্ট প্রভৃতি কাগজপত্র চেয়ে থাকি। মালিকরা এসব কাগজপত্র ও প্রয়োজনীয় তথ্য না দিতে পারলে কোনো বিমা কোম্পানি দাবি নিষ্পত্তি করবে না।’

কোম্পানির সার্ভে টিমের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘মেরিন ইনসিওরেন্সের ক্ষেত্রে অনেক সময়ই দেখা যায়- শর্ত অনুযায়ী জাহাজের ডেকের ভিতরে মালামাল আনার কথা থাকলেও অনেকেই খরচ বাঁচানোর জন্য ডেকের উপরে করে মালামাল আনা-নেয়া করে। এটা তারা জেনে-বুঝে ইচ্ছা করেই করে। কারণ, তাদের বিমা করা আছে, চাইলেই টাকা পাবে। সমুদ্রে ঝড়-বৃষ্টি, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ওই মালামালের ক্ষয়-ক্ষতি হলে গ্রহীতারা অর্থ দাবি করতে পারবে। কিন্তু সার্ভে টিম খোঁজ নিয়ে দেখে তারা নিয়ম বা শর্ত অমান্য করে ডেকের উপরে করে মাল এনেছে। তাদের শর্তভঙ্গের কারণে আমরা দাবি নিষ্পত্তি করতে পারি না। তারপরও দোষ আমাদের, আমাদের নিয়েই যত নেতিবাচক কথা।’

বিমা সেক্টর নিয়ে নেতিবাচক কথা না বলে এ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা ও জ্ঞান অর্জনের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন বিভিন্ন বিমা কোম্পানির কর্মকর্তারা। বিমা সম্পর্কে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।

#বাংলা মেইল ২৪

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে