01.Supreme-Court-of-Bangladesh-300x199

বিডি নীয়ালা নিউজ(২৫ই এপ্রিল১৬)-অনলাইন প্রতিবেদনঃ বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট বিচারক (তদন্ত) আইন, ২০১৬-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক বৈঠকে খসড়াটির অনুমোদন দেওয়া হয়। অসদাচরণের জন্য উচ্চ আদালতের কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে তদন্ত ও তাকে অপসারণের প্রক্রিয়া নির্ধারণ করতে এ আইন তৈরি হচ্ছে।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেছেন, সংবিধানের দায়বদ্ধতা থেকে এ আইন করা হচ্ছে। মূলত বিচারপতিদের অসদাচরণ ও অসামর্থ্যের বিষয়টি আইনে রাখা হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের বিচারকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে তার তদন্ত হবে এ আইনের মাধ্যমে। তদন্তে কোনো বিচারকের অসদাচরণ বা অসামর্থ্য প্রমাণিত হলে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে। এরপর  সংসদের দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের ভোটে যে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে, সেটি যাবে রাষ্ট্রপতির কাছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, রাজনীতি বিদ্বেষপ্রসূত কোনো বিষয় নয়। বিচারক হয়েও যদি অবিচারকসুলভ কাজ করেন, তার তদন্ত হবে। বিচারপতিদের যেন কোনো অসম্মান না হয়— সেই সুরক্ষা আইনে নিশ্চিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করলে খসড়া আইনে দুই বছরের জেল ও ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বিচারপতিদের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ রয়েছে, এরপর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আইনটি মন্ত্রিসভায় আসবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, সুপ্রিমকোর্টের কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে অসদাচরণ বা অসামর্থ্য-সম্পর্কিত কোনো অভিযোগ জাতীয় সংসদের স্পিকারের কাছে দাখিল করতে হবে। ১০ জন সংসদ সদস্যকে নিয়ে স্পিকার একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমে অভিযোগের সত্যতা নিরূপণ করবেন। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে স্পিকার বিষয়টি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির কাছে পাঠাবেন। তদন্ত গোপনে করতে হবে। প্রাথমিক তদন্ত শেষ করতে হবে সাত দিনের মধ্যে। কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন সাবেক একজন প্রধান বিচারপতি বা আপিল বিভাগের একজন সাবেক বিচারপতি।

এ ছাড়া ওই কমিটিতে সাবেক একজন অ্যাটর্নি জেনারেল এবং একজন সম্ভ্রান্ত নাগরিককে রাখার কথা বলা হয়েছে।

তদন্ত-প্রক্রিয়ায় প্রাপ্ত ফলাফল জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করতে হবে। এরপর সংবিধানের ৯৬ (২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বিচারককে অপসারণ-সংক্রান্ত প্রস্তাব জাতীয় সংসদের মোট সদস্য সংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় গ্রহণ করতে হবে।

এরপর রাষ্ট্রপতি ওই বিচারককে অপসারণ করবেন। দেশের সব নাগরিকের জন্য আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত করতে জাতীয় গৃহায়ণ নীতিমালা ২০১৬ এর খসড়াও অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, দেশের সব নাগরিকের আবাসন সুবিধা, টেকসই মানব বসতির উন্নয়ন, সামাজিক ও পরিবেশগত এবং ধর্মীয় অনুশাসন, বনজ প্রাকৃতিক সম্পদের ব্যবহার, গৃহায়ণ প্রকল্পকে গুরুত্ব দিয়ে এ নীতিমালার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সূত্রঃ বিডি-প্রতিদিন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে