ডেস্ক রিপোর্টঃ রাজধানী ঢাকার বায়ু দুষণ রোধে আইনেই খসড়া চুড়ান্ত করেছে মন্ত্রণালয়। ঢাকাতে গাড়ির ধোঁয়া, ধুলো-বালি নানা কারণে প্রতিনিয়ত বাড়ছে বায়ু দূষণ। বাতাসে বাড়ছে মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক পিএম ২.৫ এর মাত্রা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে ফুসফুসজনিত নানা রোগসহ ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ছে।সমস্যা সমাধানে বায়ু দূষণের উৎসগুলো নিয়ন্ত্রণে কঠোর হওয়ার তাগিদ পরিবেশবিদদের।নিজেদের সীমাবদ্ধতা থাকলেও দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দিচ্ছে পরিবেশ অধিদপ্তর।রাজধানীসহ সারা দেশে বায়ু দূষণ রোধে আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
ইতোমধ্যেই আইনের খসড়া প্রণযন চুড়ান্ত হয়েছে বলে জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সচিব আবদুল্লাহ আল মহসিন চৌধুরী।তিনি জানান,‘বায়ু দূষণ নিয়ে আগে কোনো আইন ছিল না। পরিবেশ অধিদফতর পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের অধীনে বায়ু দূষণ রোধে কার্যক্রম পরিচালিত হবে। বায়ু দূষণ রোধে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত মোট ৩৫৮টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১০ কোটি ৮ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৭৫টি ইটভাটার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়।যানবাহন সৃষ্ট কালো ধোঁয়া নির্গমন হ্রাসের জন্য ২০ বছরের পুরনো যানবাহনসহ ঢাকাসহ শহরের রাস্তা থেকে প্রত্যাহার এবং যানবাহনের ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদানকালে যানবাহন নিঃসৃত কালো ধোঁয়া পরীক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।’বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্মল বায়ু ও টেকসই পরিবেশ (কেইস) প্রকল্প থেকে দেশের আটটি শহরের বায়ুর মান প্রতিদিন পর্যবেক্ষণ করা হয়। তাতে দুই মাস ধরে ঢাকার পাশাপাশি রাজশাহী, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল ও খুলনা শহরের বায়ুর মান মারাত্মক ও খুব অস্বাস্থ্যকর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।এর মধ্যে সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহর হলো রাজধানী ঢাকা। পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্মল বায়ু প্রকল্পের পরিচালক মনজুরুল হান্নান খান বলেন,‘রাজধানীসহ দেশের প্রধান শহরগুলোর আশপাশে গড়ে ওঠা প্রায় ছয় হাজার ইটভাটা ও গাড়ি থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া দূষণের জন্য প্রধানত দায়ী।
পিবিএ/বাখ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে