গত ১৬ই ডিসেম্বর থেকে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলেছে।

বিডি নীয়ালা নিউজ(১৮ই  আগস্ট ২০১৬ইং)-ডেস্ক রিপোর্টঃ বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের ভুয়া সিম পাওয়া গেলেই আগামী সপ্তাহ থেকে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি বা অপারেটরের বিরুদ্ধে প্রতিটি সিমের জন্য ৫০ডলার করে জরিমানা করার কথা বলেছে বিটিআরসি।

আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে ভিন্ন সিম নিবন্ধনের অনেক অভিযোগ রয়েছে।এই পরিস্থিতিকে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বা বিটিআরসি উদ্বেগজনক বলে মনে করে।

টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বলছে এ ধরনের জালিয়াতির ঘটনা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনের উদ্দেশ্যকে আঘাত করেছে।

বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বিবিসি বাংলাকে বলেন, “ বায়োমেট্রিক্যালি সিম রি-রেজিস্ট্রেশন করার উদ্দেশ্যটাই ছিল এটা। যাতে আমার নামের সিম অন্য কারো হাতে না যায়। ”

মি: মাহমুদ জানালেন অবৈধ উপায়ে রেজিস্ট্রেশন করা সিমের বিরুদ্ধে বিটিআরসি ক্রমাগত অভিযান চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, “ আমরা যদি প্রমাণ করতে পারি যে কোন অপারেটর এ ধরনের কাজের সাথে জড়িত, তাদেরকে আমরা তিন কোটি থেকে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা ফাইন (জরিমানা) করার অধিকার আমাদের আছে।”

এ পদ্ধতিতে জালিয়াতি নিয়ে আগে থেকেই উদ্বেগ ছিল।

বিটিআরসি মনে করে সিম জালিয়াতির ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সবগুলো পক্ষের দায় আছে।

মোবাইল কোম্পানিগুলো সংগঠন অ্যামটবের মহাসচিব নুরুল কবির দায় চাপালেন মাঠ পর্যায়ের সিম বিক্রেতাদের উপর।

গ্রাহকের হাতে থাকা মোবাইল সিমের সংখ্যা ছিল ১৩ কোটি ২০ লাখ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন হয়েছে ১১ কোটি ৬০ লাখ সিম।

এর মধ্যে জালিয়াতির সংখ্যা কত সে বিষয়ে কেউ সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারছেনা।

অ্যামটবের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, পাঁচ হাজারের মতো সিম জালিয়াতি হয়েছে বলে তাদের ধারণা।

কোন প্রক্রিয়ায় জালিয়াতি হচ্ছে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবগুলো পক্ষ একই কথা বলছে। কিন্তু দুর্বলতা কোথায় ছিল, সে প্রশ্নে কেউ দায় নিতে রাজী নয়।

 

bbc

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে