মারুফ সরকার : বিশেষ প্রতিনিধি : শুক্রবার  সন্ধ্যা ৭টায় শেরে বাংলা এ কে  ফজলুল হক গবেষণা কেন্দ্র এর উদ্যোগে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
সভাপতিত্ব করেন বিশ্ব বাঙালি সম্মেলন ও বিশ্ব কবিতা কংগ্রেস এবং দক্ষিণ এশিয়া সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি আন্তর্জাতিক বিপ্লবী কবিরত্ন মুহম্মদ আবদুল খালেক। কবি মুহম্মদ আব্দুল খালেক শেরে বাংলার মূল সংগঠন শেরে বাংলা জাতীয় স্মৃতি সংসদের সভাপতি।
প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক মন্ত্রী আন্তর্জাতিক আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমিরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে কবি মুহম্মদ আবদুল খালেককে কবিতা ও সাহিত্যে অসাধারণ অবদানের জন্য ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর পুরস্কার স্মারক সম্মাননা প্রদান করা হয়।  ব্যারিষ্টার এম আমিরুল ইসলাম কে শেরে বাংলা পুরস্কার প্রদান করা হয়।
আলোচনায় অংশ নেন সিরাজুল মোস্তফা, প্রফেসর সাদিয়া আহমদ, অধ্যক্ষ জাকির হোসেন, নওশেদ আহমদ । স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষণা কেন্দ্র এর সাধারণ সম্পাদক আর কে রিপন । অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন গবেষণা কেন্দ্র এর সহ সভাপতি মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা । সৈয়দ মারগুব মোরশেদ শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক গবেষণা কেন্দ্র এর সভাপতি। তিনি অসুস্থতার জন্য অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন। কবিতা পাঠ করেন কবি এস আই জনি।

ব্যারিস্টার আমিরউল ইসলাম বলেন, শেরে বাংলা উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠতম মহান নেতা ছিলেন। তিনি অখন্ড বাংলার শিক্ষা বিস্তারে অসাধারণ অবদান রাখেন। যে কারণে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।

সভাপতির ভাষণে কবি আবদুল খালেক বলেন, ‌শেরে বাংলা অখন্ড বাংলার প্রধান মন্ত্রী ছিলেন। বর্তমান বাংলাদেশ শেরে বাংলার বাংলাদেশের অর্ধেক। তাঁর সময়ের অখন্ড বাংলায় ছিল বর্তমান বাংলাদেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয়, আসাম, ত্রিপুরা ও মিজোরাম। মওলানা ভাসানীও শেরে বাংলার অখন্ড বাংলা চেয়েছিলেন।
সিরজুদ্দৌলাহ ও আলীবর্ধী খাঁ এর বাংলাদেশ ছিল আরও বড়। এই বাংলাদেশে ছিল  বর্তমান বাংলাদেশ,ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওরিষ্যা ও ঝারখন্ড। বর্তমান বাংলাদেশ সিরাজুদ্দৌলাহর বাংলাদেশের তিন ভাগের এক ভাগ হবে।

অনুষ্ঠান শেষে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে