ডেস্ক রিপোর্টঃ কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেছেন, শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলার পর বাংলাদেশের জঙ্গিরাও নিঃসন্দেহে কিছুটা ইন্সপায়ার্ড (উৎসাহিত) হয়েছে। তবে আমাদের কাছে যে তথ্য আছে সে অনুযায়ী এখন পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোনো হামলার আশঙ্কা নেই।

আজ শনিবার নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

মনিরুল বলেছেন, নিউজিল্যান্ডে হামলার পর আমাদের দেশের জঙ্গি সংগঠনের মধ্যে একটি প্রতিশোধপরায়ণ প্রবণতা জেগে উঠেছে। আমাদের বিভিন্ন ইন্টেলিজেন্স এজেন্সির মাধ্যমে কিছু তথ্য পেয়েছি। তবে হামলার জন্য যে পরিমাণ সরঞ্জামের প্রয়োজন সেগুলো জোগাড় করা অনেক সময়ের ব্যাপার। এর আগে আমাদের বিভিন্ন অভিযানে তাদের সাংগঠনিক সক্ষমতা অনেকটা ভেঙে গিয়েছে।

তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কায় ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলার পর দেশে ফিরে আসা ১১ শ্রমিকের এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের অপরাধের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। ফেরত শ্রমিকদের সঙ্গে ওই ঘটনার সম্পৃক্ততা না থাকলেও তারা সবাই শ্রীলঙ্কায় হামলার অন্যতম হোতা ইব্রাহিম ইনসাফ আহম্মেদের কারখানায় কাজ করতেন। তবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ এখনো চলছে। কোনো সংশ্লিষ্টতা না পেলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই। এখন পর্যন্ত তারা হামলার সম্পর্কেও কোনো তথ্য দিতে পারেনি।

শ্রীলঙ্কা থেকে ঢাকায় ফেরা ১১ শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা এই ১১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। শ্রীলঙ্কার কলম্বোর উপশহর এলাকায় আত্মঘাতী এক বোমা হামলাকারী ইব্রাহিম ইনসাফ আহম্মেদ নামে যে সন্ত্রাসী মারা গেছে আমরা তার সম্পর্কে এবং তার আত্মীয়দের সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছি। এখন পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদে তারা কিছুই জানাতে পারেনি। তারা মালিককে দু-চারবার দূর থেকে দেখেছে। তবে মালিকের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ করার কোনও সুযোগ হয়নি। সাধারণ লেবারের মতোই তারা সেখানে ছিল বলেও জানান তিনি।

K/K/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে