paypal
বিডি নীয়ালা নিউজ ( ১৩ই জুলাই ২০১৬ইং)-ডেস্ক রিপোর্টঃ দেশে বসে বিদেশে কাজ করে উপার্জিত অর্থ দেশে আনার জনপ্রিয় পদ্ধতি পেপ্যাল বাংলাদেশে চালু করার প্রক্রিয়া চলছে। এ বিষয়ে বেশ অগ্রগতি হয়েছে বলেও জানা গেছে।
এ ব্যাপারে বুধবার তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ইত্তেফাক অনলাইনকে জানিয়েছেন, ‘আমাদের ফ্রিল্যান্সারদের দীর্ঘদিনের দাবি পেপ্যালকে বাংলাদেশে নিয়ে আসা। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে ও তত্ত্বাবধানে আমরা দীর্ঘদিন ধরে পেপ্যালের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। এই আলোচনায় বেশ অগ্রগতিও হয়েছে। আমরা আশাবাদী, কিছুদিনের মধ্যেই হয়তো একটা সুখবর দিতে পারবো।’
এ নিয়ে বুধবার দুপুরে সরকারের যুগ্ম-সচিব মাহবুব কবির মিলন ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘এইমাত্র আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকে বের হলাম। ছোট্ট কিন্তু বিশাল একটি আনন্দের সংবাদ দিচ্ছি। পেপ্যাল আসছে বাংলাদেশে। সোনালী ব্যাংকের সাথে এমওইউ চুক্তি স্বাক্ষর হয়ে গেছে। আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যেই তারা কাজ শুরু করে দেবে আমাদের দেশে’।
বাংলাদেশে পেপ্যালকে নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে ২০১১ সাল থেকে। ফলে ‘বাংলাদেশে আসছে পেপ্যাল’ এমন খবর শোনা গেছে আগেও বহুবার। কিন্তু শেষমেশ আশাহত হয়েছেন দেশের ফ্রিল্যান্সাররা। কিন্তু এবার হয়ত আর আশাহত হবেন না তারা। আর তার ইঙ্গিত রয়েছে জুনাইদ আহমেদ পলক ও মাহবুব কবির মিলনের কথায়।
২০১১ সালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) দেশে পেপ্যাল নিয়ে আসার জন্য উদ্যোগ নেয়। ২০১২ সালে এসে এটি বাস্তবায়নের জন্য নানানভাবে চেষ্টা করতে থাকেন সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা। সে বছর সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে পেপ্যাল চালু হচ্ছে বলে ঘোষণাও দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ তা আর চালু হয়নি।
এরপর দেশের প্রথম ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড মেলায় সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আগামী বছরেই (২০১৩ সালে) দেশে পেপ্যাল চালু হবে। ২০১৩ সালের এপ্রিলের শুরুতে সিলেটে ই-বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও বলেন, আগামী দেড় মাসের মধ্যে দেশে পেপ্যাল চালু হবে। এর মধ্যে আবার বাংলাদেশ ব্যাংকের তখনকার গভর্নর আতিউর রহমানও বেশ কয়েক দফায় জানান দেশে পেপ্যাল আসছে।
২০১৪ সালেও কয়েকবার সজীব ওয়াজেদ জয় আশ্বাস দিয়ে বলেন, পেপ্যাল দেশে আনার জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। সেই চেষ্টার অংশ হিসেবে ২০১৫ সালের জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পেপ্যালের ভাইস প্রেসিডেন্টের সাথে বৈঠক করেন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ওই বৈঠকে বাংলাদেশে কার্যক্রম চালুর বিষয়ে নিজেদের অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনা ও বাংলাদেশে ব্যবসায়িক সম্ভাবনার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে জানায় পেপ্যাল। কিন্তু শেষমেশ আর বাংলাদেশে কার্যক্রম চালু করেনি পেপ্যাল।
এ মুহূর্তে বিশ্বের ১৯৩টি দেশে পেপ্যাল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বিশ্বের প্রায় ১৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষ এ সেবার সুবিধা উপভোগ করছেন। ২৬টি মুদ্রায় এ প্রতিষ্ঠানটি লেনদেন পরিচালনা করে।
ittefaq

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে