বসুন্ধরা
বসুন্ধরা সিটির সামনে অনেক উৎসুক জনতা জড়ো হয়েছেন

বিডি নীয়ালা নিউজ(২১ই আগস্ট ২০১৬ইং)-ডেস্ক রিপোর্টঃ  বাংলাদেশের ঢাকায় শপিং মল, বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সের আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য ফায়ার সার্ভিসের ২৮ টি ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে।

রোববার সকাল ১১ টার দিকে ভবনটির ছয় তলায় আগুন লেগে তা ‘ মোটামুটি বড় আকারে’ ছড়িয়ে পড়েছিল বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

বসুন্ধরা সিটির ছয় তলা এবং ওপরের অংশগুলো থেকে অনেক ধোঁয়া বের হতে দেখা যাচ্ছে।

ঘটনাস্থল থেকে সংবাদদাতা আহরার হোসেন জানাচ্ছেন, ধোঁয়া বের হবার জন্য ভবনের কিছু কাঁচ ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে এবং সেখান থেকে ব্যাপকহারে ধোঁয়া বেরুচ্ছে।

যেখান থেকে আগুনের সূত্রপাত সেই ছয় তলায় সেখানে মূলত: জুতার এবং মোবাইল ফোনের অনেক দোকান রয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের অপারেসন্স পরিচালক শাকিল নেওয়াজ জানিয়েছেন, চামড়াজাতীয় পণ্য পুড়ে যাওয়ায় বিষাক্ত ধোঁয়া বেরুচ্ছে এবং একারণে তারা সিড়ি বেয়ে ওপরে উঠতে পারছেন না।

বসুন্ধরা সিটির ছাদে কয়েকজন আটকা পড়েছেন বলেও তিনি জানিয়েছেন। তবে ছাদে ঠিক কতজন আছেন তা নিশ্চিত নয়।

দোকান মালিকদের অনেকে উদ্বিগ্ন অবস্থায় বসুন্ধরা সিটির ভবনের নীচে অপেক্ষা করছেন। উৎসুক জনতাকে সরিয়ে দিতেও পুলিশকে বারবার বাঁশি বাজিয়ে রাস্তায় নামতে দেখা যাচ্ছে।

বসুন্ধরা আগুনফায়ার সার্ভিসের ২৮ টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করছে

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ বলছে, বেলা ১১ টা ২৩ মিনিটে তারা আগুন লাগার সংবাদ পেয়েছেন।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, ছয় তলার সি ব্লকের একটি দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

এর আগে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক আলী আহমদ খান জানিয়েছিলেন, শপিং মলের ভেতর থেকে ৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে এবং ভেতরে আর কেউ আটকে নেই বলে তারা আশা করছেন।

অগ্নিনির্বাপনকর্মী এবং বসুন্ধরা সিটির নিজস্ব কর্মীরা বসুন্ধরা সিটির ছাদ থেকে পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছেন বিবিসি বাংলার সংবাদদাতা।

বসুন্ধরা সিটি সাধারণত: সকাল ১১ টায় সবার জন্য খুলে দেয়া হয়। এর আগে বিভিন্ন দোকানের লোকজন সেখানে প্রবেশ করেন।

ঢাকার বৃহৎ একটি শপিং মল বসুন্ধরা সিটিতে এর আগেও ২০০৯ সালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। ঐ অগ্নিকাণ্ডে সাত জন নিহত হয়।

 

 

bbc

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে