2016-09-24_6_149138

ডেস্ক রিপোর্টঃ রাজনৈতিক আশ্রয় বাতিল করে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীকে কানাডা থেকে বহিষ্কারের খবরের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ শনিবার সচিবালয়ের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে আমাদের চেষ্টা আগে থেকেই অব্যাহত ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কানাডা সফরে গিয়ে ওই দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে এ বিষয়টি তুলেছেন। তাদের আলোচনা অত্যন্ত ফলপ্রসূ হয়েছে। সে আলোচনার প্রেক্ষিতেই কীভাবে নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেয়া যায়, তা খতিয়ে দেখছে কানাডা সরকার।
আইনমন্ত্রী বলেন, কানাডা মৃত্যুদন্ড সমর্থন করে না এবং এ বিষয়ে তাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে। নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়ে কীভাবে তা এড়ানো যায়, তাও তারা খতিয়ে দেখছে বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, নূর চৌধুরীকে কানাডা থেকে বহিষ্কার বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর পাওয়ার পর তাকে নিউইয়র্ক থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফোন করেছিলেন। আমাদের দুজনের আলোচনার প্রেক্ষিতে খবরটার সত্যতা জানতে কানাডায় বাংলাদেশের হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেখানকার হাইকমিশনার জানান, এ সংবাদটি অসত্য। এছাড়া কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ডেস্কেও হাইকমিশনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করে এ সংবাদের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।
২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর পাঁচ খুনি ফারুক রহমান ও সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, বজলুল হুদা, মহিউদ্দিন আহমেদ ও একেএম মহিউদ্দিনের ফাঁসি কার্যকর হয়।
এ মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত অপর সাতজনের মধ্যে আবদুর রশিদ, শরিফুল হক ডালিম, এসএইচএমবি নূর চৌধুরী, মোসলেমউদ্দিন, রাশেদ চৌধুরী ও আবদুল মাজেদ বিদেশে পালিয়ে আছে। দন্ডিত অপরজন আবদুল আজিজ পাশা পলাতক অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা যায়। পলাতকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

 

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে