ডেস্ক রিপোর্টঃ আদর্শ মানুষ গড়ার মাধ্যম হল শিক্ষা আর শিক্ষার  একাডেমিক সর্বোচ্চ  প্রতিষ্ঠান হচেছ বিশ্ববিদ্যালয় । অথচ সেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার নামে দেশে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সার্বিক অবস্থান বরাবরই প্রশ্নবিদ্ধ ।  ২০১২ সালে অনুমোদন নেওয়া ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদের মেয়াদ উত্তীর্ণ । ২০১০ সালের আগে অনুমোদন নেওয়া ৫২ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অস্থায়ী ক্যাম্পাসেই ৩২টি । অডিট-রিপোর্ট, শিক্ষকসংখ্যা, টিউশন ফি, শিক্ষকদের বেতনকাঠামো-সংক্রান্ত বিধিও মানা হচ্ছে না

আইন-শৃঙ্খলা না মানলেও এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কার্যত কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার নজির চোখে পড়ছে না। আইন অনুযায়ী কোনো বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের শর্ত না মানলে সেখানে শিক্ষার্থী ভর্তি পুরোপুরি বন্ধ থাকার কথা। কিন্তু সেই শর্ত না মানা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে। নতুন নতুন বিভাগ অনুমোদিত হচ্ছে; অনুমোদন পাচ্ছে সমাবর্তনেরও। দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শৃঙ্খলা আনতে ২০১০ সালে নতুন আইন করে সরকার। কিন্তু আইন প্রণয়ন করা হলেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাস্তবে আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে কার্যকর কোনো ভূমিকা নেই শিক্ষামন্ত্রণালয় বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের।

২০১০ সাল থেকেই  এ সকল বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে একাধিকবার সময় বেঁধে দেওয়া হয়। সর্বশেষ ২০১৭ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার ক্ষেত্রে সময় বেঁধে দিয়েছিল শিক্ষামন্ত্রণালয়। ২০১৭ সাল থেকেই ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয় চলছে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে। যা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের লঙ্ঘন। অন্যদিকে ২০১২ সালে অনুমোদন পায় ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়। এগুলোর মধ্যে ৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনার ৭ বছর শেষ হয়েছে। আইন অনুযায়ী এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও কেউ সনদ নবায়ন করে নি। ফলে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়।

দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ অনুমোদন পায় ১৯৯৬ সালের ১৬ মে। প্রতিষ্ঠার ২৩ বছরেও স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে পারে নি বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ থাকা বাধ্যতামূলক। প্রাপ্ত তথ্যমতে, ২০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই। উপ-উপাচার্য নেই ৭২টিতে। আর কোষাধ্যক্ষ নেই ৫৩টিতে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো শূন্য থাকা আইনের লঙ্ঘন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

আইন অনুযায়ী, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষকের সংখ্যা পূর্ণকালীন শিক্ষকের এক তৃতীয়াংশের বেশি হবে না। কিন্তু দেখা যায়, কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষকের সংখ্যা পূর্ণকালীন শিক্ষকের চেয়ে বেশি। আবার এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কিছু প্রতিষ্ঠানে নগদ অর্থের বিনিময়ে পিওর শিক্ষা সনদ পাওয়া যায় মর্মে বেশকিছু সূ্ত্র  পিবিএ’কে জানান ।

পিবিএ/ফআ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে