tofail-ahmed

ডেস্ক রিপোর্টঃ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
তিনি বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় বাংলাদেশে এখন অতিরিক্ত খাদ্য উৎপাদিত হচ্ছে। দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে খাদ্য রপ্তানি করা হচ্ছে।
ইতালির রোমে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) সদর দফতরে সোমবার মিনিস্টেরিয়াল মিটিংয়ের ‘লং-টার্ম কমোডিটি প্রাইস ট্রেন্ডস এন্ড সাসটেইনেবল এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট’ সেশনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তৃতায় তিরি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে এফওএ’র মহাপরিচালক জসে গ্রাজিয়ানো দ্য সিলভা বক্তব্য রাখেন।
সম্মেলনে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে ৪০ ভাগ মানুষ কৃষিখাতে কাজ করছে। জিডিপিতে কৃষি খাতের অবদান ১৪ দশমিক ৯৫ ভাগ। বাংলাদেশের ৭ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে এসডিজি’র ৮২ ভাগ অর্জন করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ১ ভাগ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। কৃষির আধুনিকায়ন, মাটির গুণাগুণ পরীক্ষা, গবেষণা, উৎপাদিত কৃষিপণ্য যথাযথ সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ জরুরি। সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণের অভাবে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ কৃষি পণ্য নষ্ট হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে এফএও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। এ ধরনের সহযোগিতা এলডিসিভুক্ত দেশগুলোর জন্যও প্রয়োজন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে ইতোমধ্যে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের বর্তমান রপ্তানি ৩৪ দশমিক ২৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
তিনি বলেন, বর্তমানে তৈরিপোশাক কারখানাগুলো কম্পিউটার সায়েন্স করা হয়েছে। এতে বিপুল পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করতে হয়েছে, কিন্তু তৈরি পোশাকের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়নি। পণ্যের ও শ্রমের উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত না হলে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা উৎসাহ হারিয়ে ফেলতে পারে। এসডিজি অর্জনের ক্ষেত্রে পণ্যের উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত হওয়া জরুরি।
পরে বাণিজ্যমন্ত্রী এফওএ’র মহাপরিচালকের সাথে বৈঠক করেন।
তিনি মহাপরিচালককে অবহিত করে বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে বাংলাদেশে জমির পরিমাণ কমলেও গবেষণার মাধ্যমে উচ্চ ফলনশীল কৃষিপণ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করা হচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকেই এফওএ’র সাথে ঘনিষ্ঠভাবে বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে।
মহাপরিচালক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন এবং সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি এফএও’র পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে সবধরণের সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।
এসময় বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রোমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুস সোবহাস শিকদার এবং ইকনোমিক মিনিস্টার ড. মো. মফিজুর রহমান।

 

বি/এস/এস/এন

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে