বিশেষ প্রতিণিধি মারুফ সরকার:
‘বর্ষপূর্তির আনন্দে মেতে ওঠো এক ছন্দে’ স্বাধীনতার সংসদের উদ্যোগে সংগঠনের ২৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় সেগুনবাগিচাস্থ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

‘জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে পড়ুক প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয় সংগঠনের নির্বাহী চেয়ারম্যান শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আদিবা আনজুম মিতা এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ মঞ্জুর হোসেন ঈসা, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কণ্ঠযোদ্ধা বুলবুল, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব চিত্রনায়িকা নতুন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক রিপোর্টার সোসাইটি সভাপতি মিসেস সুলতানা রানী, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোঃ হারুন-অর-রশিদ সুমন, মাদক মুক্ত বাংলাদেশ চাই প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এডভোকেট আলামিন হোসেন বিপ্লব, সিদ্ধেশ্বরী পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক …………………. । স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাধীনতা সংসদের মহাসচিব শাহেদ আহমেদ।

মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, ২৮ বছরে পা রাখলো স্বাধীনতা সংসদ এদেশের স্বাধীনতা এবং 2৮ বছর ধরে অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে কাজ করে চলেছে। স্বাধীনতা সংসদ এদেশের দেশ প্রেমিক নাগরিককে ঐক্যবদ্ধ করে পথচলার ২৮ বছর অতিক্রম করল। সংগঠনটি এমন একটি সময় এই আয়োজন যে সময় এদেশের একজন সাহসী প্রধানমন্ত্রী একটি বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি পাকিস্তান থেকে শুরু করে আজকের বাংলাদেশে যে হয়নি তেমন এক ইতিহাসের ঐতিহাসিক কান্ডারী হিসেবে তিনি নিজের নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন। সরকারী রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে অব্যাহতি প্রদান করে তিনি যে ঐতিহাসিক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা যাতে সারাজীবন স্মরণ করবেন।

তিনি আরো বলেন, যে দোষে দোষী ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ একই দোষে দোষী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভিসি এখন প্রশ্ন উঠতে পারে। তিনি এখনো কিভাবে তার জায়গায় বসে আছেন প্রধানমন্ত্রীকে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে আরও সাহসী ও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। তিনি যদি দেশকে এগিয়ে নিতে চান তাহলে দুর্নীতির জঞ্জাল পরিষ্কার করতে হবে। যারা দুর্নীতিবাজ তাদেরকে খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা এমন একটি সময় এখন দাঁড়িয়ে আছি এক বছর পর মুজিবীয় বর্ষ পালন করা হবে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শতবার্ষিকী পালন করা হবে তার এক বছর পর ২০২১ সালে বাংলাদেশ ৫০ বছরে পা রাখবে। এমন একটি সময় আমাদের সবার চ্যালেঞ্জ হওয়া উচিত দুর্নীতিমুক্ত দেশ প্রেমিক স্বনির্ভর একটি বাংলাদেশ। যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু। সেই স্বপ্ন আমরা সবাই মিলে দেখতে চাই দেশকে এগিয়ে নিতে চাই। আসুন দেশকে এগিয়ে নিয়ে আমরা প্রমান করি আমরা এদেশের দেশ প্রেমিক নাগরিক।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে