ডেস্ক রিপোর্টঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে ৬টি এবং তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে একটি ভুয়া ফেসবুক পেজ খুলে একটি চক্র প্রতারণার মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিত। এছাড়াও দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নামে আরও ৩৬টি ভুয়া একাউন্ট খুলে প্রতারণা করত চক্রটি।

এ অভিযোগের ভিত্তিতে র‍্যাব-২ এর একটি বিশেষ দল এ চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. ওমর ফারুক (৩০), মো. সাব্বির হোসেন (২৪), মো. আল আমিন (২৭), মো. আমিনুল ইসলাম (২৫), মো. মনির হোসেন (২৯)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১২টি মোবাইল এবং ১টি ল্যাপটপও উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান।

মুফতি মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচনকে ঘিরে সক্রিয় সাইবার অপরাধী চক্ররা এখনও ভিন্ন পথ অবলম্বন করছে। তারা এখন প্রধানমন্ত্রীসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিয়ে ফেসবুকে ভুয়া একাউন্ট খুলে প্রতারণা ও রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণা চালাচ্ছে। তাদের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আজকে আটকৃতদের মধ্যে ওমর ফারুক নিজেই প্রধানমন্ত্রীর নামে ৬টি এবং তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে ১টি ভুয়া ফেসবুক একাউন্ট খুলে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করত। সে আওয়ামী লীগ সমর্থক গোষ্ঠীসহ জাতীয় নেতাদের নামে ৩৬টি ভুয়া একাউন্ট খুলেছিল। সে তার নিজের নামেও ৬টি ফেসবুক একাউন্ট খুলেছে। অপর আসামি সাব্বির পেশায় সাইবার কমিউনিকেশন এক্সপার্ট। সে ইতোমধ্যে ৬টি মামলার এজহারভুক্ত আসামি। সে ইতোপূর্বে তারেক জিয়া সাইবার ফোর্স, দেশ নেত্রী সাইবার ফোরাম পেজের এডমিন ছিল। সম্প্রতি সেসব পেজের নামের জায়গায় শেখ হাসিনার পরামর্শক ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নাম সংযোজন করে তাতে নিরাপদ সড়ক চাই ও কোটা আন্দোলনসহ নতুন কোনো ইস্যু পেলে সেগুলো নিয়ে উসকানিমূলক ভিডিও পোস্ট করে আসছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেফতারকৃতরা ভুয়া এসব পেজে প্রধানমন্ত্রীর নামে নাম্বার দিয়ে তাদের নাম্বার যোগ করেছে। এতো অনেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে ওই নাম্বারে ফোন দিলে তারা ধরে। এর পর তারা নিজেদেরকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নিয়োগপ্রাপ্ত পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিদেরকে প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আদায়ের চেষ্টা করে। সম্প্রতি সংসদে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন ফরম নেয়া প্রার্থীদেরকে ফোন দিয়ে তাদেরকে মনোনয়ন নিশ্চিতের ব্যাপারে প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আদায়ের চেষ্টা চালিয়েছিল তারা।’

তবে গ্রেফতারকৃতরা কত অর্থ প্রতারণা করেছে এবং তাদের রাজনৈতিক পরিচয় কি সেটি এখনও নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি। তাদেরকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে সে বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

P/B/A/N.

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে