shekh-hasina

বিডি নীয়ালা নিউজ(২৮ই এপ্রিল১৬)-অনলাইন প্রতিবেদনঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন জাপান সফরেই হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের সমঝোতা চুক্তি হচ্ছে বলে জানিয়েছে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

ফলে চীনকে পেছনে ফেলে দেড় বিলিয়ন ডলারের কাজটি পেতে যাচ্ছে জাপান। এছাড়া এ সফরে বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর নামে নতুন একটি বিমানবন্দর নির্মাণেও সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানি রাষ্ট্রদূত সিরো সাডেসিমা মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সচিবালয়ে বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেননের সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মে মাসের শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর হওয়ার কথা রয়েছে। এ সময় প্রকল্পের অর্থায়নের বিষয়টিও চূড়ান্ত করা হবে।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, শাহজালালে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণে জাপান ইতোমধ্যে একটি প্রস্তাবও জমা দিয়েছে।

গত বছরের (২০১৫) মে মাসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ‘শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল, দ্বিতীয় রানওয়ে এবং অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নে আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রাথমিক সম্ভাব্যতা প্রতিবেদন ও খসড়া মাস্টার প্ল্যান’ উপস্থাপন করা হয়। ওই মহাপরিকল্পনায় বলা হয়, বর্তমানে শাহজালাল বিমানবন্দরে বছরে ৮০ লাখ যাত্রীকে সেবা দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু ওই বছরের প্রথম পাঁচ মাসেই ৬৭ লাখ যাত্রী এ বিমানবন্দর ব্যবহার করেন।

বাংলাদেশের প্রধান এই বিমানবন্দরের যাত্রী সংখ্যা প্রতি বছর ৯ দশমিক ৫ শতাংশ হারে বাড়তে থাকায় ২০১৯ সালে নতুন টার্মিনালের প্রয়োজন হবে। ২০১৫ সালের ১৩ মে ওই পরিকল্পনা উপস্থাপন অনুষ্ঠানে দ্রুততম সময়ে তৃতীয় টার্মিনালের কাজ শেষ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

প্রকল্পটিতে জাপানের অর্থায়ন নিয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর জাইকা প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাশেদ খান মেনন। এরপরই গত ২০ ডিসেম্বর মন্ত্রীকে দেওয়া এক চিঠিতে শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের আগ্রহের কথা জানান জাইকা বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি মিকিও হাতাইদা।

চিঠিতে মিকিও হাতাইদা লেখেন, নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছ থেকে মাস্টার প্ল্যান পেয়েছি। আমরা এটা সতর্কতার সঙ্গে নিরীক্ষা করে দেখছি এবং প্রকল্পটির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে নিজেদের খরচে একটি সার্ভে পরিচালনার পরিকল্পনা করছি। সার্ভের পর এর ফলাফল নিয়ে যত শিগগির সম্ভব আপনার মন্ত্রণালয়, বেবিচক এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমরা আলোচনায় আগ্রহী।

২০১৫ সালের ৫ আগস্ট বিমান মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা শাখার এক প্রতিবেদনে বলা হয়,এ প্রকল্পে অর্থায়নের বিষয়ে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে জাপান দূতাবাস ও জাইকাকে চিঠি পাঠানো হলেও সাড়া মেলেনি। এরপর অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়,তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের জন্য চীন সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা সংগ্রহের উদ্যোগ নিতে বিমান মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

এর আগে গত ২০ মে ‘চায়না এয়ারপোর্ট কনস্ট্রাকশন গ্রুপ করপোরেশন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকটি প্রস্তাব সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছে দেয়। যার মধ্যে শাহজালালে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ এবং আধুনিকায়নের বিষয়টিও ছিল। প্রস্তাবে বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী তৃতীয় টার্মিনাল, ডোমেস্টিক টার্মিনাল ও কার্গোভিলেজ তৈরিসহ বিমানবন্দরের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণে ১৩০ কোটি ডলার বা ১০ হাজার ১৪০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে বলে চীনা প্রতিষ্ঠান জানায়।

বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বিমানবন্দরের ‘ক্যাপাসিটি’ চারগুণ বাড়বে। বর্তমানে দুই টার্মিনালে আটটি বোর্ডিং ব্রিজ রয়েছে, তৃতীয় টার্মিনাল হলে এর সংখ্যা হবে ৩২টি।

#banglanews24

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে