জন্ম থেকেই দুইটি হাত ও একটি পা নাই ফজলুল হকের। পা দিয়েই লেখালেখি করে ফজলুল । প্রবল ইচ্ছা শক্তিতে ভর করে জীবনযুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে সে।

ডেস্ক রিপোর্টঃ প্রতিদিন ৩ কিলোমিটার রাস্তা পাড়ি দিয়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের চরগোপালপুর গ্রামের সাহেব আলীর এই ছেলে।

২০১৯ সালে মেটুয়ানি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরিক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ ৩.৫৬ পায় ছয় সদস্যের দরিদ্র পরিবারের এই সন্তান।

ফজলুল হকের বিদ্যালয় জীবন এবং ভবিষ্যৎ ভাবনা নিয়ে সে জানায়, পড়ালেখা করার সময় অনেকে বলত লেখাপড়া করতে পারবি না। তবুও সে এক পা দিয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। এখন তার বেলকুচি কলেজে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছা।

তবে শরীরের প্রতিবন্ধকতার চাইতে তাতে বড় বাধা হয়ে দেখা দিচ্ছে তার পরিবারের আর্থিক অস্বচ্ছলতা।

ফজলুলের মা সারা খাতুন জানান, তাদের কষ্ট না দেখে সন্তানের কষ্টটাই বড় করে দেখেন তারা। ছেলে লেখাপড়ার চালানোর মতো সামর্থ নেই।

ফজলুলের বোন আসমাও এবার এসএসসি পাশ করেছে।

সে বলে, ফজলুল তার সাথে স্কুলে যেত এবং তার কোন সমস্যা হলে সেই দেখত।

মেটুয়ানি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মাজেদুল হক বলেন, বিদ্যালয়ে থাকাকালে ফজলুলের বিনা বেতনে পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছিলেন এবং তার থেকে কোনো পরিক্ষার ফিস নেওয়া হয়নি এবং উপবৃত্তি দেওয়া হয়েছে।

“এসএসসি পরিক্ষায় শ্রুতি লেখক নেওয়ার পদ্বতি থাকলেও ফজলুল নেয়নি। সে নিজেই পা দিয়েই লিখে এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করেছে।”

বিডিনিউজ২৪

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে