1453830435_62
বিডি নীয়ালা নিউজ(২৬জানুয়ারি১৬)- ঢাকা প্রতিনিধিঃ “বহুমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে পুলিশকে জনগণের সেবক হতে হবে” বললেন প্রধান মন্ত্রী। মঙ্গলবার রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে ‘পুলিশ সপ্তাহ ২০১৬’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

“প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে অসহায় ও বিপন্ন মানুষের পাশে বিশ্বস্ত বন্ধুর মতো দাঁড়াতে হবে, যেন মানুষ ভরসা পায়।”

পুলিশের হাতে সম্প্রতি দুই সরকারি কর্মকর্তা নির্যাতিত হওয়ার ঘটনায় সমালোচনার মধ্যেই সরকারপ্রধানের এই তাগিদ এলো।

১৯৭৫ সালের ১৫ জানুয়ারি প্রথম পুলিশ সপ্তাহে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ভাষণ থেকে একটি অংশ এ অনুষ্ঠানে তুলে ধরেন তার মেয়ে শেখ হাসিনা।

“বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘আপনারা স্বাধীন দেশের পুলিশ। আপনারা বিদেশি শোষকদের পুলিশ নন, জনগণের পুলিশ। আপনাদের কর্তব্য জনগণের সেবা করা, জনগণকে ভালবাসা, দুর্দিনে জনগণকে সাহায্য করা। আপনাদের বাহিনী এমন যে, এর লোক বাংলাদেশের গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে আছে। আপনাদের নিকট বাংলাদেশের মানুষ একটি জিনিস চায়। তারা যেন শান্তিতে ঘুমাতে পারে। তারা আশা করে, চোর বদমাইশ, গুণ্ডা, দুর্নীতিবাজ যেন তাদের উপর অত্যাচার করতে না পারে। আপনাদের কর্তব্য অনেক’।”

police-week-new1

বঙ্গবন্ধুর সেই বক্তব্য মনে রেখে পুলিশ সদস্যদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, কেবল চুরি-ডাকাতি, হত্যা-রাহাজানি বন্ধ করা নয়; সাইবার ক্রাইম, মানি লন্ডারিং, মাদক পাচার এবং পণ্য চোরাচালান ও নারী-শিশু পাচার প্রতিরোধে পুলিশ বাহিনীকে ‘আরও শক্ত’ ভূমিকা রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী সকালে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে পৌঁছালে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ও পুলিশ মহাপরিদর্শক শহীদুল হক তাকে স্বাগত জানান।

পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী কুজকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং সালাম গ্রহণ করেন। প্যারেডে নেতৃত্ব দেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার।

বাংলাদেশে এই প্রথম একজন নারী পুলিশ সপ্তাহের প্যারেডে নেতৃত্ব দিলেন। সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য এই পারেডে অংশ নেন।

২০১৫ সালে সাহসিকতা, বীরত্বপূর্ণ কাজ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে ‘প্রশংসনীয় অবদানের’ স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী এ অনুষ্ঠানে পুলিশ সদস্যদের পদক পরিয়ে দেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে