felani_3_44877

বিডি নীয়ালা নিউজ(৬জানুয়ারি১৬)- অনলাইন প্রতিবেদনঃ ২০১১ সালের ৭ই জানুয়ারি । কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে  লাল-সাদা জামা পরা এক কিশোরী ঝুলে সীমান্ত বেড়ার কাঁটাতারে। হাত বেয়ে পড়ছে ফোঁটা ফোঁটা রক্ত। ছবিটি সীমান্তহত্যার নৈমিত্তিক ঘটনার প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়েছে। নির্মম সেই ফটোগ্রাফের ‘সাবজেক্ট’ হতভাগী ফেলানী।

সেই ঘটনার পর স্লোগানটাই দাঁড়িয়েছিল, ‘ফেলানী নয়, কাঁটাতারে ঝুলছে বাংলাদেশ।’ আরো এক বছর আগ থেকে হিসাবে ফেলানির মতো নির্মমতা শিকার হয়েছেন অন্তত আরো ২৩৬ বাংলাদেশি। বেসরকারি সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ছয় বছরের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিবাদ-বিক্ষোভে পরিসংখ্যানের সূচক কমেনি। ২০১৫ সালেই সীমান্তে বিএসএফের গুলি ও নির্যাতনে নিহত হয়েছেন ৪৬ জন।
এ ঘটনায় ভারতের কোচবিহারে বিএসএফের বিশেষ আদালতে পরপর দুবার ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম সাক্ষ্য দিয়ে এলেও অভিযুক্ত অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত।

ন্যায়বিচারের আশায় ভারতের মানবাধিকার সংগঠন মাসুমের (মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ) সহায়তায় ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একটি রিট আবেদন দাখিল করেন ফেলানীর বাবা।

ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম বলেন, মেয়ের হত্যার বিচার চেয়ে তিনি কয়েক দফা ভারতে গেছেন। কিন্তু সেখানে বিএসএফের আদালতে অমিয় ঘোষকে খালাস দেয়া হয়েছে। এখন মামলাটি ভারতের সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে।

তিনি বলেন, এই দীর্ঘদিনেও মেয়ে হত্যার বিচার না পাওয়ায় তিনি হতাশ হয়ে পড়েছেন।

এই ঘটনার পর বাংলাদেশের সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাকে সহায়তার কথা ঘোষণা করলেও, কারো কাছ থেকে তেমন সহায়তা পাননি। এখন পরিবার নিয়ে চরম আর্থিক সংকটে রয়েছেন।

একসময় আসামে পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন ফেলানীর পরিবার। সেখানে তাদের একটি দোকানও ছিল।

গত বছরের মাঝামাঝিতে, ফেলানীর পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ক্ষতিপূরণ দিতে ছয় সপ্তাহ সময় বেঁধে দেয়া হয়েছিল। তবে এখনো কোন ক্ষতিপূরণ পায়নি পরিবার।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে