ডেস্ক রিপোর্টঃ পাঁচ দফা দা‌বি পূরণ না হওয়ায় আবার রাজপ‌থে নে‌মে‌ছে ঢাকা বিশ্ব‌বিদ্যালয় অ‌ধিভূক্ত সাত ক‌লে‌জের শিক্ষাথীরা।

শ‌নিবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লা‌বের সাম‌নে এক মানববন্ধ‌নে তারা এসব দা‌বি পূরণ ও অ‌নি‌শ্চিত ক্যা‌রিয়ার থে‌কে উদ্ধা‌রে প্রধানমন্ত্রীর হস্ত‌ক্ষেপ ও কামনা ক‌রেন। পাঁচ দফা দা‌বি আদা‌য়ে আ‌ন্দোল‌নের প্রধান সমন্বয়ক ঢাকা ক‌লে‌জের শিক্ষার্থী আবু বকর ব‌লেন, ঢা‌বি প্রশাসন আমা‌দের সা‌থে প্রহসন কর‌ছে। দা‌বি আদা‌য়ের আশ্বাস দি‌য়েও তারা আমাদের কোন দা‌বিই পূরণ ক‌রে‌নি। আবু বকর ব‌লেন, আমা‌দের দা‌বি আদায় না হওয়ায় এবং অ‌নি‌শ্চিত ক্যা‌রিয়ার থে‌কে উদ্ধা‌রে আমরা আবার রাজপ‌থে নাম‌তে বাধ্য হ‌য়ে‌ছি।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী শাকিল ব‌লেন, কোন ধরনের পূর্ব পরিকল্পনা ছাড়াই ২০১৭ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। তিনি জানান, অধিভুক্ত হওয়ার পর থেকেই সাত কলেজে নেমে আসে কা‌লো অধ্যায়। দীর্ঘ ৯ মাস ৭ কলেজের কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর মানববন্ধন কর্মসূচি, অবরোধ কর্মসূচির পর কার্যক্রম শুরু করে। কিছুদিন চলার পরে পুনরায় পূর্বের অবস্থায় ফিরে যায় সাত ক‌লেজ। তার পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ ও ২৪ এপ্রিল ৫ দফা দাবিতে আন্দোলনের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাবি গুলো দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দিলে আমরা আন্দোলন স্থগিত করে ক্লাসে ফিরে যাই। কিন্তু প্রকাশিত একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ক‌লে‌জের কাজ বাস্তবায়ন না হওয়ায় আমরা আমাদের সংকটাপন্ন জীবন নিয়ে হতাশ জ‌ীবন কাটা‌চ্ছি।

অন্যদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ধারাবাহিক পরীক্ষা আর আমাদের অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন আমাদের আবার রাজপথে নামতে বাধ্য করেছে। এমতাবস্থায় আমাদের অধিভুক্ত কলেজের বিষয়ে কোন আশ্বাস নয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে সমস্যার সমাধান চাই। আমরা হতাশ তবে প্রধানমন্ত্রী প্র‌তি আস্থা রাখতে চাই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের আর কোন মিথ্যা আশ্বাস আমরা শুনতে চাই না।

আন্দোলনরতদের দা‌বি করা পাঁচ দফা হ‌চ্ছে, ১) ফলাফল প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে সকল বিভাগের ত্রুটিমুক্ত ফল প্রকাশ করা।
২) অনার্স, মাস্টার্স, ডিগ্রীর সকল বর্ষে ফলাফল অকৃতকার্য হওয়ার কারণ প্রকাশসহ খাতার পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।
৩) ৭ কলেজ পরিচালনার জন্য স্বতন্ত্র প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ।
৪) সিলেবাস অনুযায়ী মানসম্মত প্রশ্নপত্র প্রণয়ন সহ উত্তরপত্র মূল্যায়ন সম্পূর্ণরূপে সাত কলেজের শিক্ষক দ্বারা করতে হবে।
৫) সেশনজট নিরসনে একাডেমিক ক্যা‌লেন্ডার প্রকাশসহ ক্রাশ প্রোগ্রাম চালু করতে হ‌বে।


একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে